এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও’র আবেদনের সময় বাড়লো আরো ২ সপ্তাহ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২০, ০৯:১১ পিএম
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও’র আবেদনের সময় বাড়লো আরো ২ সপ্তাহ

ঢাকা : ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিও আবেদনের সময় আরো দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে অর্থাৎ জুলাই ২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির কারণে রাজধানীর ৪৯টি রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় গত ১৬ জুন থেকে সরকারি সাধারণ ছুটি ও কঠোর লকডাউন থাকায় উক্ত এলাকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীগণ এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের আইপিওর আবেদন করতে পারেননি। তাদের অনুরোধে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আইপিও আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য পুঁজিবাজারের  নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে। যার জবাবে বিএসইসি আগামী ২ জুলাই তারিখ পর্যন্ত আরো দুই সপ্তাহ আইপিও’র আবেদনের জন্য সময় বাড়ানোর পক্ষে সম্মতি দেয়। 

গত ১৮ জুন (বৃহস্পতিবার) কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের পুনর্নির্ধারিত সময় শেষ হয়। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স এই সময়কে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

এদিকে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের জন্য হয় বৃদ্ধি করে।

প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী যদি ৬৫% এর বেশি এবং তবে ১০০% এর কম আবেদনের ক্ষেত্রে আইপিও’র আবেদনের সময় বাড়ানোর হয়ে থাকে।  সে ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আইপিও’র আবেদন ৬৫ শতাংশের বেশি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে. এম. সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের আইপিও আবেদন (সাবস্ক্রিপশন) সময় নির্ধারণ করা হয়।  তাও আবার ১৬ জুন তারিখ থেকে ১৮ জুন তারিখ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ছিলো লকডাউন।  এ পরিস্থিতিতে আবেদন করতে পারেনি এমন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী রয়েছে অনেক।  এছাড়া অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের অনুরোধ করেছে, আইপিও আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য।  তাদের কথা বিবেচনা করেই আমরা কমিশনের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছি।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আইপিও আবেদনের সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে করোনাভাইরাস ইস্যুতে দেশের শেয়ারবাজার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকার কারণে আবেদন গ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি।  গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৯তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ২ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করবে।  প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।  উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪২ টাকা এবং পুনমূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ টাকায়।  যা পুনমূল্যায়ন ছাড়া ১৬ টাকার বেশি।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল এবং বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেড।

সোনালীনিউজ/এএস

Link copied!