৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ তালিকাভুক্ত ৪১ কোম্পানি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৮:১৩ পিএম
৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ তালিকাভুক্ত ৪১ কোম্পানি

ফাইল ছবি

ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই ৪১  কোম্পানির। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

একাধিকবার আল্টিমেটামের পরেও উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ (পরিশোধিত মূলধনের) শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ৪১ কোম্পানির মধ্যে এখনো শেয়ার কেনার আগ্রহ তৈরী হয়নি বলে জানা গেছে। যদিও আগামি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে ব্যর্থরা এই নির্দেশনা পরিপালন না করলে, ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্প্রতি এক নির্দেশনা দেওয়ার পরে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ নির্দেশনা পরিপালন করেছে।

গত ২৯ জুলাই পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোকে ৬০ কার্যদিবস সময় বেধে দেয় বিএসইসি।  এখনো ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনে ব্যর্থ হওয়া ৪১ কোম্পানি হচ্ছে- একটিভ ফাইন কেমিক্যাল, আফতাব অটোমোবাইলস, অগ্নি সিস্টেমস, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, এপেক্স ফুটওয়্যার, এ্যাপোলো ইস্পাত, বারাকা পাওয়ার, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিটি ব্যাংক, ডেল্টা স্পিনার্স, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, ইমাম বাটন, ইনটেক, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো স্পিনিং, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ ও পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইডস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, সালভো কেমিক্যাল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কে অ্যান্ড কিউ।

২০০৯ ও ২০১০ সালে যখন পুঁজিবাজার চাঙ্গা হতে থাকে তখন তালিকাভুক্ত কোম্পানির অনেক উদ্যোক্তা-পরিচালক হাজার হাজার কোটি টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করে দেন। পরে দেখা যায়, পরিচালকদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণ অনেক নিচে চলে এসেছে। এতে কোম্পানিগুলোর প্রতি পরিচালকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

তাছাড়া বাজারেও ব্যাপক ধস নামে। তখন ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর কোম্পানির পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ার ধারণ নিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। নির্দেশনায় বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির উদ্যোক্তা বা পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে।

সে সময় তালিকাভুক্ত ব্যাংকের পরিচালকরা ন্যূনতম শেয়ারধারণের শর্ত থেকে ব্যাংকগুলোকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান। কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালক বিএসইসির এ নির্দেশনার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলাও করেন। পরে মামলায় হেরে পর্ষদের সদস্যপদও ছাড়তে হয়েছে একাধিক ব্যাংক পরিচালককে।

সোনালীনিউজ/এলএ/এমএএইচ

Link copied!