‘৪ মাসের আলোচনার প্রভাব নেই বাজেটে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৩, ২০১৬, ০৫:২৫ পিএম
‘৪ মাসের আলোচনার প্রভাব নেই বাজেটে’

গত ৪ মাস ধরে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু সেই আলোচনার কোনো প্রভাব বাজেটে নেই। তাহলে সেই আলোচনার দরকার ছিল কি?

শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ নিয়ে এ মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ৪ মাস ধরে এনবিআরের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা করেছি। কিন্তু আলোচনার কোনো প্রভাব বাজেটে নেই। শুধু শোনার জন্য হলে, আলোচনার কোনো দরকার নেই। শুধু শুধু আমাদের সময় নষ্ট করে লাভ কী? ওই সময়টা আলোচনায় না দিয়ে ব্যবসায় দিলে অনেক লাভ হত।

আবদুল মাতলুব আহমদ বলেন, পোশাক শিল্পের উৎসে কর হার কমানোর দাবি ছিল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু উল্টো পোশাক শিল্পের উৎসে করহার বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে; এটা অযৌক্তিক। এ কারণে দেশের রপ্তানি আয় হুমকির মুখে পড়বে। একইসঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে  উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে- তা বাস্তবায়ন হবে না। কারণ দেশকে উন্নত করতে হলে শিল্পের বিনিয়োগ ও কর্সংস্থান বাড়াতে হবে। পোশাক শিল্পের উৎসে কর বাড়ানো হলে বিনিয়োগ ও কর্সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে না।

মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, আগামী ২০১৬-১৭ অর্বছরের জন্য সদ্য ঘোষিত বাজেটকে জটিল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশের সব শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। এবারের বাজেটে অনেক বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। বাজেটের আগে সরকারের সঙ্গে ৭টি পয়েন্ট নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছিল; সে সব বিষয়ে বাজেটে কিছুই খুঁজে পাইনি। ট্যাক্স আদায়ে যে নতুন ফর্মুলা দিয়েছে- তা খুঁজে খুঁজে বের করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটের আকার অনেক বড় হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের করভার বাড়বে। কারণ বিশাল এই রাজস্ব বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব অর্থই আমাদেরকে দিতে হবে।

ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিতে চায় মন্তব্য করে আবদুল মাতলুব বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, এই দেশ এবং ব্যবসা সব কিছুই আমাদের। তাই দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিতে চায়; তবে তা যৌক্তিক হতে হবে। বিশাল অংকের করভার চাপানো হলে ব্যবসীয়রা বাঁচবে না। আর ব্যবসায়ী না বাচলে দেশ এবং দেশের মানুষও বাঁচবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের অনেক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তি রয়েছে। বিশেষ করে প্যাকেজ ভ্যাট যে হারে বাড়ানো হয়েছে তা অস্বাভাবিক । এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

এছাড়া ই-কমার্স, গোল্ড ও বেকারি পণ্যে অযৌক্তিক হারে কর ও ভ্যাট বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে বর্তমান করদাতাদের উপর বাড়িয়ে দেওয়া ভ্যাট ও করহার প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/ জেডআরসি

Link copied!