দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্তির আইন প্রণয়নে বিএসইসির কমিটি গঠন 

  • আবদুল হাকিম  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২২, ১১:০৯ এএম
দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্তির আইন প্রণয়নে বিএসইসির কমিটি গঠন 

ফাইল ছবি

ঢাকা : দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্তির জন্য আইন প্রণয়ন করতে কমিটি গঠন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

গত রবিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে । বাকী সদস্যরা হচ্ছে, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, নির্বাহী পরিচালক ও সদস্য। মো. আবুল কালাম, পরিচালক ও সদস্য।মো. কাওসার আলী, অতিরিক্ত পরিচালক ও সদস্য। মোহাম্মদ জহিরুল হক, যুগ্ম পরিচালক ও সদস্য সচিব।

উক্ত কমিটিকে বিএসইসির নির্দেশনার পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে টিওআর অনুযায়ী কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র মতে, ডিমিউচুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথক্করণ) স্কিম অনুসারে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার কথা ছিল। যদিও এখনো পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ দুটি তা করতে পারেনি।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে এ সংক্রান্ত বিধান প্রণয়ন করতে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। 

এ সংক্রান্ত একটি করে চিঠি সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মো. আবুল কালাম, মো. কাওসার আলী, মোহাম্মদ জহিরুল হক এর বরাবর পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ডিএসই ও সিএসইর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসইসি।বৈঠকে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে কমিশনের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। কমিশনের পর্যবেক্ষণে আরো উঠে এসেছে যে দৈনন্দিন আর্থিক ও ব্যবস্থাপনাগত বিভিন্ন ইস্যুতে এক্সচেঞ্জের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম ও বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিধিমালা অনুসারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে কমপ্লায়েন্স অডিট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০১৩ সালে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের মাধ্যমে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন করা হয়। ফলে এক্সচেঞ্জের পর্ষদে শেয়ারধারী পরিচালকদের প্রাধান্য লোপ পায়। এর পরিবর্তে স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক্সচেঞ্জের নেতৃত্বে আসে। কিন্তু এ পরিবর্তনও অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কারণ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পরও এখনো পর্যন্ত এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এর কার্যক্রমে তাদের স্বাতন্ত্র্য ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। ফলে এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক ক্ষেত্রেই শেয়ারধারী পরিচালকদের দ্বারস্থ হতে হয়। এতে প্রকৃত ডিমিউচুয়ালাইজেশন বাস্তবায়ন থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

সোনালীনিউজ/এএইচ

Link copied!