যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরও কমতে পারে: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ঢাকা: বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক আরও কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।

রোববার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিযোগী অনেক দেশের পাল্টা শুল্কহার এখনো নির্ধারিত হয়নি। ভবিষ্যতে তাদের জন্য যে হার নির্ধারিত হবে—বিশেষত অ্যাপারেল খাতে—তা বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকবে। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “তৃতীয় একটি বিষয় আছে, যা আমি এখন প্রকাশ্যে বলছি না। তবে এটি সম্ভবত একটি সুসংবাদ এবং এর ফলে আমাদের ওপর আরও এক দফা ট্যারিফ কমতে পারে।”

বিটিএমএ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনার সাফল্যে সরকারের প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমও।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গে ড. রহমান বলেন, “দেশের স্বার্থ বিক্রি করে কোনো চুক্তি হয়নি। আমরা কোনো ভূ-রাজনৈতিক ফাঁদে পড়িনি। দর-কষাকষি করেছি তিনটি মূলনীতির ভিত্তিতে। প্রথমত, আমরা নির্বাচিত সরকার নই, তাই পরবর্তী সরকারের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা রেখে যেতে পারি না। ফলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকতে হবে—তারা চাইলে এ চুক্তি পরিবর্তন, পরিমার্জন বা বাতিল করতে পারবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকারের সঙ্গে আমরা এমন একটি চুক্তি করেছি, যা বাতিলযোগ্য।”

তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন তারা, যখন অন্য দেশগুলো এখনো প্রস্তুতি নেয়নি। ফলে বাংলাদেশ কিছুটা বেশি সময় পেয়েছে। “এটি কেবল ট্যারিফ রেট অ্যাডজাস্টমেন্ট নয়, বরং নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার, জাতীয় নীতি ও নিরাপত্তা প্রশ্ন জড়িত একটি জটিল প্রক্রিয়া,” বলেন ড. রহমান।

তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ইমারজেন্সি পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ (আইইইপিএ) আইনের আওতায় রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেছিলেন। এ আইনের অধীনে, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা দেখা দিলে প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতার প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক রয়েছে এবং রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হয়েছে। নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের দুটি আদালত ইতিমধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।

ওএফ

Link copied!