জুনেও ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
জুনেও ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

উচ্চ সুদ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যাংকে আমানত জমার হার তেমন বাড়ছে না। জুন মাসের শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের সঙ্গে একই। এর আগে মার্চ ও এপ্রিল মাসে আমানতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ৮ দশমিক ২১ শতাংশ ছিল।

বর্তমানে অনেক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ৯–১১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। তারল্য সংকটে থাকা কিছু ব্যাংক ১৩ শতাংশ সুদ দিয়ে আমানত নেওয়ার প্রচারণা চালাচ্ছে, তবুও কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ও ব্যয়ের বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ মাস শেষে সঞ্চয়ের জন্য পর্যাপ্ত টাকা রাখছে না। এছাড়া ব্যবসায় ধীরগতি ও তারল্য প্রবাহ কমে যাওয়াকেও মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুনে ব্যাংকে মোট আমানত ১৮ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ১৭ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা ছিল। সে হিসাবে এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের মতে, বেকারত্ব বৃদ্ধি, মানুষের আয় স্থির থাকা, নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের কমে যাওয়া ও বিনিয়োগে স্থবিরতা ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমার মূল কারণ। তিনি বলেন, নতুন ব্যবসা না হওয়ায় মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমছে, যা কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলছে। জুনে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, জুনে বেসরকারি খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সংকোচনশীল মুদ্রানীতি এই পতনের কারণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আগেই জানিয়েছেন, মূলত অর্থ পাচারের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে টাকা বের হওয়ায় উচ্চ সুদ দেওয়া সত্ত্বেও আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

ওএফ

Link copied!