যে কারণে নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থ দেবে না আইএমএফ

  • সোনালী ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
যে কারণে নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থ দেবে না আইএমএফ

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি বাংলাদেশের কাছে ডিসেম্বরে বা আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধে ছাড়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সংস্থাটি এখন অর্থ ছাড় করতে রাজি নয়।

আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

ডলার সংকটের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সংস্থার সঙ্গে আরও ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। মোট ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৫ম কিস্তি পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেয়েছে।

প্রতিটি কিস্তি ছাড়ের আগে আইএমএফ নিশ্চিত করে থাকে সরকার কতটুকু শর্ত পূরণ করেছে। ৬ষ্ঠ কিস্তির জন্য নির্ধারিত মিশন ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশে আসছে এবং ওয়াশিংটনে প্রতিবেদন দেবে। অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত এখান থেকে নির্ভর করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৬ষ্ঠ কিস্তির শর্তগুলোর মধ্যে শুধু রাজস্ব আহরণের শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পারেনি, বাকি সব শর্ত পূরণ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকার ঋণের শর্ত মানবে কি-না, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ৬ষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় হবে।”

অর্থ উপদেষ্টা জানান, ঋণের আগামী কিস্তির অর্থ ডিসেম্বরের বদলে মার্চ-এপ্রিলে ছাড় করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ষষ্ঠ কিস্তি বাবদ প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। এটি ছাড় না করলেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতায় কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো, রপ্তানি আয় সামান্য হলেও গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের তিন মাসে গড়ে ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ শতাংশ। আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বকেয়া ঋণ সিঙ্গেল ডিজিটে নেমেছে। রিজার্ভ বেড়ে ৩ হাজার ২১৪ কোটি ডলারে উঠেছে।

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলার জন্য ২০২২ সালের শেষদিকে আওয়ামী লীগ সরকার আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চেয়েছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারির শেষে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করা হয়। নতুন সরকারের সময় ঋণ কর্মসূচি আরও ৮০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতিমধ্যেই পাঁচ কিস্তি বাবদ ৩৬০ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে।

এসএইচ

Link copied!