বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বিধানে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে আদানিসহ বেশিরভাগ চুক্তিতেই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব অনিয়মে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তি, সরকারি আমলা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত ছিলেন বলে কমিটির অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার এক বছরব্যাপী পর্যালোচনার পর কমিটি তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে জমা দেয়। প্রতিবেদনের তথ্য উপস্থাপনকালে কমিটির সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এসব চুক্তি যথাযথ প্রমাণ ছাড়া বাতিল করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “আদানির সঙ্গে করা চুক্তিতে যদি দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে তা বাতিলের সুযোগ রয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় চুক্তি হওয়ায় কোনো প্রক্রিয়া ছাড়াই চুক্তি বাতিল করা যায় না।”
তিনি আরও জানান, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিললে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “সব তথ্য দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে,” যোগ করেন তিনি।
কমিটির প্রধান সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, “দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইনের আওতায় আওয়ামী লীগ সরকার যে চুক্তিগুলো করেছে, সেখানে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। ভারতের আদানিসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো এ অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সবাইকে আইনের আওতায় আনার প্রস্তুতি চলছে।”
এম
আপনার মতামত লিখুন :