উট-দুম্বা বিক্রিতে চমক, বাড়ছে আমদানিও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৭, ০৪:৫৫ পিএম
উট-দুম্বা বিক্রিতে চমক, বাড়ছে আমদানিও

ঢাকা: কোরবানির পশু বলতেই গরু। বিকল্প পশু থাকলেও তার প্রতি তেমন আগ্রহ দেখা যায় না। সম্প্রতি দেশে কোরবানির পশু হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উট ও দুম্বা। তাই দেশের বাইরে থেকে উট এবং দুম্বা আমদানি বেড়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও উট এবং দুম্বার খামার গড়ে উঠেতে। তবে উট কোরবানিতে নতুনত্ব থাকায় এর দামও কিছুটা বেশি।

ব্যবসায়ীরা জানান, আরব দেশগুলোর আদলে এ দেশেও অনেকে এখন কোরবানি দিতে উট বা দুম্বা কিনছেন। চাহিদার কারণে এখন দেশে উট ও দুম্বার বাণিজ্যিক খামারও শুরু হয়েছে। তবে খুবই সীমিত আকারে। কোরবানির সময় বেশিরভাগ উট এবং দুম্বা আসছে ভারতের রাজস্থান ও হরিয়ানা প্রদেশ থেকে।

বিশেষ করে সীমান্তের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, বুড়িমারীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে উট ও দুম্বা পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলো সেখান থেকে চলে আসছে ঢাকায়। ঢাকা থেকে কিছু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে চট্টগ্রামেও এ দুই ধরনের পশু পাওয়া যাচ্ছে।

জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উট ও দুম্বার খামার এবং গৃহপালিত পশু হিসেবে এগুলোর কদর মধ্যপাচ্যের আরব দেশগুলোতে বেশি। এর বাইরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারতের রাজস্থান ও হরিয়ানা রাজ্যেও এগুলোর কদর রয়েছে। অত্যধিক তাপমাত্রা সহিষ্ণু বলে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোর আবহাওয়া এসব পশুর জন্য উপযোগী।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মতিঝিলে ছোট আকারের একটি উটের খামার রয়েছে। এখানে দুম্বাও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ছোট আকারে উটের আরও একটি খামার রয়েছে।

রাজধানীর গাবতলীর গরুর হাটে দেখা গেছে বেশ কিছু উট ও দুম্বা। এগুলো ভারতের রাজস্থান ও হরিয়ানা থেকে আনা হয়েছে।

এক ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক বছর ধরেই তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাটে উট ও দুম্বা বিক্রি করছেন। ক্রেতারা বেশ কিনছেন। এগুলোতে লাভ বেশি বলে তিনি জানান। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এবার ১২টি উট এনেছেন। একেকটি উটের দাম হাঁকছেন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

এবার ডিপজল এন্টারপ্রাইজ সম্প্রতি এ হাটে সাতটি উট এনেছে। বিভিন্ন আকৃতির এসব উটের দাম হাঁকছেন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা।

উটের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি উটে ১৮০ থেকে ২৫০ কেজি মাংস হয়। এ ছাড়া অনেকেই নতুনত্ব খুঁজতে উট কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর দরদাম করে কেনার সুযোগ রয়েছে বিধায় ধনাঢ্য ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। হাটে এসব উটের দেখভাল করছেন আবদুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই উট আনা হয়। এখন এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আমদানিও বাড়ছে।

হোসেন আলী নামে এক ব্যবসায়ী ১৪টি দুম্বা এনেছেন হাটে। প্রতিটি দুম্বার দাম ৪ লাখ টাকা করে হাঁকা হচ্ছে। একেকটি দুম্বায় ৫৫ থেকে ৬০ কেজি মাংস হবে। উট ও দুম্বাকে খাবার হিসেবে ঘাস ও স্বল্প পানি দেয়া হয়। এ ছাড়া বুট ও ছোলাও দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Link copied!