ঢাকা : আসন্ন বাজেটে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রদান একদিকে যেমন নৈতিক অবক্ষয়কে প্রশ্রয়ের দৃষ্টান্ত, তেমনি দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এটিও প্রমাণিত, এ জাতীয় অসাধু চর্চা রাজস্ব আদায়েও কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করে না। কালো টাকাকে বৈধতা প্রদান যেমন অসাংবিধানিক, তেমনি অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি সহায়ক।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্য সব খাতের প্রস্তাবিত বরাদ্দের ন্যায় প্রতিরক্ষা বাজেটের পেছনে পর্যাপ্ত যুক্তিসহ বিস্তারিত বিবরণ সংসদে উপস্থাপন ও বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। খসড়া জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালায় সশস্ত্র বাহিনীকে জনগণের কাছাকাছি নেওয়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় প্রতিরক্ষা বাজেট ও তার ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের প্রচলন করলে এ ব্যাপারে জনসমর্থন বাড়বে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকির সম্মুখীন জনগণের সহায়তায় গঠিত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটিএফ) জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা উচিত। একদিকে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে প্রয়োজনীয় জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত না হওয়া, অন্যদিকে ফারমার্স ব্যাংকের সঙ্কটের কারণে জিম্মি বিসিসিটিএফের জন্য এবারের বাজেটে কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ না রাখলে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী আরো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের মূল শক্তিই হলো আমানতকারীদের আস্থা। সেই আস্থার ঘাটতি হলে দেশের ব্যাংকিং খাতই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না সার্বিকভাবে অর্থনীতিতেও বিপর্যয় ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাংক খাতের সঙ্কটের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলিকরণসহ জনগণের করের টাকায় মূলধন জোগানোর কোনো সুযোগ বাজেটে না রাখার আহ্বান জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :