প্রবাসী আয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স নেই বলল এনবিআর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০১৮, ০২:৫৪ এএম
প্রবাসী আয়ে ভ্যাট-ট্যাক্স নেই বলল এনবিআর

ঢাকা : প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠানো আয়ে (রেমিট্যান্সে) প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে কোনো ধরনের কর আরোপ প্রস্তাব করা হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রস্তাবিত বাজেটে রেমিট্যান্স ভ্যাট-ট্যাক্সমুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআর। গত ৬ জুন সংসদে উপস্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসী আয়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সরকারি ছুটির দিনেও বিবৃতি দিয়েছে এনবিআর।

বিবৃতিতে এনবিআর বলে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। দেশের বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অপপ্রয়াস হিসেবে এ প্রচারণা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করে এনবিআর।

বিবৃতিতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয় পণ্য বা সেবা সরবরাহের ওপর। বাংলাদেশের সম্মানিত প্রবাসীরা দেশের বাইরে কঠোর শ্রমের বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করেন। এ কার্যক্রম মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৩-এর উপ-ধারা ২(ক) মোতাবেক সেবা রফতানি হিসেবে বিবেচিত।

সুতরাং এই রফতানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারেন।  

অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স প্রেরণ করা হলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখতে পারে না। তাই হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স প্রেরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হুন্ডি বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে সব সময় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বুধবার (১৩ জুন) সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী ভাইয়েরা কোনো গুজবে কান দেবেন না। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা হয়নি। এরকম কোনো আলোচনাও কোথাও হয়নি। পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  

এদিকে চলতি বাজেটে প্রকৃত অর্থে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি। তবে প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ কমাতে সরকার নগদ সহায়তা দেবে এমন একটি প্রস্তাব চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় জানানো হলেও সেটি এখনো কার্যকর করেনি সরকার।

এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারের বিভিন্ন টেবিলে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু সরকার সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় পাঠানো ব্যক্তিদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের (সিআইপি) মর্যাদা দিচ্ছে।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!