বেরোবিতে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারলিপি

  • বেরোবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৮:১০ পিএম
বেরোবিতে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্যকে স্মারলিপি

বেরোবি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। উপাচার্য দেশের বাইরে থাকায় স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে লাল সবুজের মহোৎসব শেষে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। 

দাবিগুলো হলো-১.বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ্য লিয়াজো অফিস বন্ধ করা। ২.বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, অর্থকমিটির সভা, নিয়োগ বোর্ড, পদোন্নতি বোর্ড সহ সকল সভা-সেমিনার বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে করতে হবে। ৩.নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং ইউজিসি কর্তৃক অননুমোদিত ফাউন্ডেশন ট্রেনিং বন্ধ করতে হবে। ৪.ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংক এর শাখা স্থাপন করে বিশ‌্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন পরিচালিত করতে হবে। ৫.৩১তম সিন্ডিকেট সভার সিন্ধান্ত মোতাবেক রসায়ন বিভাগের প্রভাষক জাকির হোসেনের সকল সমস্যা সমাধান করতে হবে। ৬.লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডলসহ যারা উচ্চতর ডিগ্রির জন্য আবেদন করেছেন তাদের ছুটি সহ প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে হবে এবং শিক্ষাছুটি বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ৭.আইন অমান্য করে উপাচার্য নিজে যে সব পদের দায়িত্ব আকড়ে ধরে আছেন সেসব পদে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সর্বোত্র উন্নয়ন পরিলক্ষিত হলেও বেগম রোকেয়া বিম্ববিদ্যালয়ে কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। বর্তমান প্রশাসনের কিছু  কর্মকান্ডের জন্যই উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কজর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। 

এর আগে মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে লাল সবুজের মহোৎসব পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’। এই মহোৎসবে বিশ‌্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন বিভাগের কয়েক’শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ থেকে বিজয় র‌্যালিটি বের হয়ে রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মহোৎসব শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল প্রমূখ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!