বিপাকে প্রাথমিকের এক প্রধান ও  সহকারী শিক্ষক

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২০, ০৩:৩৪ পিএম
বিপাকে প্রাথমিকের এক প্রধান ও  সহকারী শিক্ষক

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলের উন্নয়ন খাতে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ বরাদ্দ, রুটিন মেন্টেনেন্স এবং প্রাক-প্রাথমিক খাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি অভিযোগ তুলেছেন।

এসব অভিযোগ লিখিতভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অফিসে পাঠিয়েছেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মোতালেব হোসেন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দের ১ লাখ ৫০ হাজার, স্লিপ বরাদ্দের ৫০ হাজার, রুটিন মেন্টেনেন্স ৪০ হাজার ও প্রাক-প্রাথমিক প্রকল্পের বরাদ্দের ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এসব টাকা বরাদ্দ পাওয়া এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে গোপনে এসব টাকা তুলে কোনো কাজ ছাড়াই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

অভিযোগকারী ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মো. নওশের আলম জানান, প্রধান শিক্ষক  কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক কমলা বেগমের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতসহ উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা আলমিরা, ফ্যান, চেয়ার ও বিদ্যালয়ের সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগটি সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, আসলে যে অভিযোগ করেছে তাকে টাকার ভাগ দেয়া হয়নি তো তাই। 

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস জানান, ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের দায়িত্ব সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমকে দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে রিপোর্ট দিবেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অফিসে জমা দেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Link copied!