প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:০৩ পিএম
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন। তবে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলমান অবস্থান কর্মসূচি আগের মতোই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

রোববার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মাসুদ এই ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, দিনব্যাপী আলোচনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে তিনটি মূল দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

শিক্ষক নেতা শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, “সরকার আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে দ্রুত অবহিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে আমরা কর্মবিরতি কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছি।”

এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) শাহবাগে ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে বহু শিক্ষক আহত হন। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

রোববার সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়, যেখানে তিন লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান থেকে বিরত থাকেন।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান এবং সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। আন্দোলনের কারণে এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে সহকারী শিক্ষকরা সেই সিদ্ধান্তে বৈষম্যের অভিযোগ এনে আন্দোলনে নামেন।

এম

Link copied!