ভর্তি জালিয়াতি: ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

  • জবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০১৮, ০৭:২০ পিএম
ভর্তি জালিয়াতি: ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৭-১৮ ভর্তি সেশনে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য শিক্ষার্থী দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিযে ভর্তি হওয়ায় ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে প্রক্সিতে জড়িত থাকায় পুলিশে সোপর্দ করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) এ ঘটনায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের রাজু আহমেদ (লোক প্রশাসন), রংপুর কোতয়ালী থানার মো. আশিকুর রহমান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছরামপুরের কালাম আহমেদ (ভূমি আইন ও ব্যবস্থাপনা) নামের ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ সেশনের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রাজু আহমেদ, মো. আশিকুর রহমান, কালাম আহমেদকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করে দেয়ার অফার দেয় সাইদ নামের একজন। আটকদের ভাষ্যমতে, সাইদের বাড়ি ঠাকুরগাঁ এবং সে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র। তবে তাদের কথার তাৎক্ষণিক কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এদিকে তিনজনই নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আসছিল। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা ও আইটি শাখার কাছে ছবি গরমিল পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিট কার্ডে যে প্রক্সি  দিয়েছে তার ছবি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছে সেখানে অন্য শিক্ষার্থীর ছবি পাওয়া যায়। এ সময় আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রক্সির কথা স্বীকার করে। পরে তাদের তাদের মোবাইল ও মূল সনদপত্র জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়। পরে তাদের কোতয়ালী থানায় মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এদিকে রোববার (৪ মার্চ) এলিন শেখ  (লোক প্রশাসন) বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করায় তিন শিক্ষার্থীকে কোতোয়ালী থানায় মামলা করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, আমাদের কাছে এখনো তিনজন শিক্ষার্থী এসে পৌঁছায়নি। হয়তো এখন এজাহার লিখতেছে। তবে প্রক্টরের সঙ্গে তিনজনের ব্যাপারে কথা হয়েছে।

আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে তাই তাদরেকে কোর্টে চালান দিতে হবে সেখানে থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড নেয়া হতে পারে। এছাড়া এলিন শেখকে দুই দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!