ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে গাফিলতি, শিক্ষিককে অব্যাহতি

  • জবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০১৮, ১০:২৭ পিএম
ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে গাফিলতি, শিক্ষিককে অব্যাহতি

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইউনিট-১ ভর্তি পরীক্ষা চলাকলীন সময় দায়িত্ব গাফিলতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসি খাতুনকে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দপ্তর প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সোনালীনিউজকে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে ড.ফেরদৌসি খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তার দাখিলকৃত কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব ও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় পারষ্পরিক সাংঘার্ষিক হওয়ায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

কমিটিকে এক মাস সময় বেধে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে কলা অনুষদের ডীন ড.আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক এবং অপর দুজন হলেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শাহজাহান এবং সহকারী রেজিষ্টার অ্যাড. রঞ্জন কুমার দাস।  

উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর জবি ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ইউনিট-১, বিজ্ঞান শাখার ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের বাংলা বিভাগের ৩৩৩ নাম্বার কক্ষে দায়িত্বরত ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ড.ফেরদৌসী খাতুন। তিনি পরীক্ষার শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত অন্যান্য শিক্ষকদের না জানিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ব্যাগে করে নিয়ে পরীক্ষার হল ভবনের তিন তলা থেকে দুই তলার দিকে আসতে থাকেন।

এসময় পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত অন্যান্য শিক্ষকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার গতিরোধ করে। তার ব্যাগে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নেয়ার কারণ জানতে চান। পরে পরীক্ষার বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ড অপরাধ করায় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আরজুমন্দ আরা বানু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সহকারী অধ্যাপক ড.ফেরদৌসি খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরই মধ্যে ড.ফেরদৌসি খাতুনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এছাড়া বাংলা বিভাগে তার চলমান সকল দায়িত্ব পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ও নম্বরপত্র বিভাগীয় চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম 

Link copied!