শ্বেতার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন আনু মালিক

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০১৯, ১২:০১ পিএম
শ্বেতার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন আনু মালিক

ঢাকা : বলিউডের রুপালি পদ্মায় শুধু নয় সঙ্গী শিল্পীদের আছে এমন নোংরা ঘটনার মুখোমুখি হবার অভিজ্ঞতা।  সেই #মিটু ঝড় যেন থামছেই না।  এবার গায়িকা শ্বেতা পণ্ডিতও বলিউডের মিউজিক কম্পোজার অনু মালিকের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন। গায়িকা নিজেই জানিয়েছেন, অনু মালিকের নোংরা হাতের স্পর্শ থেকে নিজেও রেহাই পাননি।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই অনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন গায়িকা নেহা ভাসিন। এরপর শ্বেতার প্রসঙ্গ টেনে এনেও অনু মালিককে এক হাত দিয়েছেন নেহা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শ্বেতা টুইট করে লিখেছেন, ‘২০১৯-এ আমরা নিগৃহীতাকে প্রশ্ন করি। দুই দশক ধরে এ ইন্ডাস্ট্রিতে গায়িকা হওয়া সত্ত্বেও এত নোংরা মানসিকতার লোক দেখতে হয়। তারা কোনো কথা বলে না, হিরো সব। ২০০১ সালে যখন আমার সঙ্গে হয়েছিল, তখন আমি কী বলতাম? একজন স্কুলের ছাত্রী কী বলবে? ধন্যবাদ #মিটু।’

নেহা জানান, ‘শ্বেতা যখন ১৫ বছরের ছিল, তখন তার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করেছিল অনু মালিক। লজ্জা হওয়া উচিত। নিগৃহীতাকে নয়, পারভার্টগুলোকে প্রশ্ন করা শিখুন।’

এই গায়িকা আরও জানান বহু বছর আগে একবার অনু মালিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কী ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। সে সময় কতটা হেনস্তা হতে হয়েছিল তাকে।

গত বছর অনু মালিকের বিরুদ্ধে #মিটু’র অভিযোগ ওঠার পরও এ বছর কেন সংশ্লিষ্ট একটি চ্যানেল গানের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ অনু মালিককে বিচারক করা হলো, তা নিয়েই সরব হয়েছেন সংগীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র। সোনাকে উত্তর দিতে গিয়েই নিজের জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন নেহা।

এক টুইটে নেহা বলেছেন, ‘... আমরা আসলে লিঙ্গ বিদ্বেষী এক বিশ্বে বাস করি। অনু মালিক একজন শিকারি। ২১ বছর বয়সে আমাকেও তার খপ্পর থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয়েছিল। স্টুডিওতে সোফায় বসে উনি আমার চোখের প্রশংসা করেছিলেন। আমি মিথ্যা কথা বলে সেখান থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলাম। আমি উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় আমাকে ফোন ও মেসেজ করা শুরু করেছিলেন উনি। অনু মালিক একজন পারভার্ট। আমি গানের সিডি নিয়ে গিয়েছিলাম সুযোগ পাওয়ার আশায়। সেখানে তার মতো একজন সিনিয়রের এই ব্যবহার মানায় না।’

এর আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর অনু মালিককে ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১০’ প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় অনুষ্ঠানটির আয়োজক সনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সে সময় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতার কোনো কাজের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়।

সোনালীনিউজ/এএস

Link copied!