হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই ফেঁসে গেছেন আরিয়ান-রিয়া

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৫:২০ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই ফেঁসে গেছেন আরিয়ান-রিয়া

ঢাকা : মাদককাণ্ডে বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে গত বছর গ্রেফতার করেছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। আর এবার এনসিবি জালে খোদ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান।

উভয় গ্রেফতারের ক্ষেত্রেই কিছু মিল রয়েছে। গ্রেফতারের সময় এই দু’জনের থেকেই কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। এমনকি তারা মাদক সেবন করেছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতেও তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখায়নি এনসিবি। উভয়ক্ষেত্রেরই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকেই হাতিয়ার করেছে এনসিবি এবং তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় রিয়া ও আরিয়ানকে।

গত বছর অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় নাম উঠে আসে তার সাবেক বান্ধবী রিয়ার। তাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর তার হোয়াটসঅই্যাপ চ্যাটের তথ্যানুসারে রিয়াকে গ্রেফতার এনসিবি করেছিল।
রিয়া চক্রবর্তী

এনসিবির যুক্তি ছিল যে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও ফোনের কললিস্ট থেকে উঠে আসে সুশান্তেরর জন্য রিয়াই মাদক সংগ্রহ করতেন। পরে রিয়ার আর্থিক লেনদেনও মাদক কেনার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এনসিবি রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক হেতু অর্থ চালান ও অপরাধীকে আশ্রদ দানের অভিযোগ আনা হয়। সংস্থা কোর্টে জানায়, রিয়া মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। এজন্য সুশান্তের জন্য তিনি মাদক সংগ্রহ করতেন।


গত বছর অক্টোবরেই দিল্লি হাইকোর্ট রিয়ার জামিন মঞ্জুর করে। কোর্ট জানান, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আনা এনসিবির মাদক সরবরাহকারীর অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। মাদক কেনা বা সংগ্রহেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি।

অন্যদিকে, ক্রুজ জাহাজে মুম্বাই থেকে গোয়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে। এনসিবি দাবি করে, আরিয়ানের সঙ্গে থাকা আরবাজ মার্চেন্টের কাছ থেকে ৫ গ্রাম চরস মিলেছে। আরিয়ানের হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটেও মাদক সেবনের প্রমাণ রয়েছে। দাবি করা হয়- আরিয়ান তার বয়ানেও একথা কবুল করেছে।
আরিয়ান খান

আরবাজের আইনজীবী কোর্টে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে আলাদাভাবে কোনও প্রমাণ নয়, চ্যাটে আইন ভঙ্গের মতো বার্তা প্রেরণ ও বাস্তবে আইন লংঘন একই কাজ নয়। কিন্তু পাল্টা অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল অনিল সিংয়ের যুক্তি ছিল, চ্যাটে প্রচুর পরিমাণে কঠিন মাদকের কথা উল্লেখ রয়েছে। ব্যক্তিগত কারণে এত পরিমাণ মাদক কেউ সংগ্রহ করতে পারে না। কোর্টে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও জমা করেছে এনসিবি কিন্তু তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কী প্রামণের হাতিয়ার হতে পারে? এনিয়ে আগেও নানা বিতণ্ডা উঠে এসেছে। এছাড়া মাদক সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে অভিযুক্তদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু রিয়া বা আরিয়ানের গ্রেফতারের সময় তা হয়নি। কেন হলো না পরীক্ষা- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!