বেয়াদবি, চড় আর মৌসুমীকে বিয়ে—তিন কারণে ওমর সানীর ক্যারিয়ার ধ্বংস

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ১১:১২ পিএম
বেয়াদবি, চড় আর মৌসুমীকে বিয়ে—তিন কারণে ওমর সানীর ক্যারিয়ার ধ্বংস

বাংলা চলচ্চিত্রের নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী এক সময় ছিলেন দর্শকদের আইডল। একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন বড় পর্দার প্রথম সারিতে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেই উজ্জ্বল ক্যারিয়ার হঠাৎ ম্লান হয়ে যায়। কেন এমনটা হয়েছিল—সম্প্রতি সেই প্রশ্নের জবাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নির্মাতা ও অভিনেতা রবিউল ইসলাম রাজ।

তার দাবি, তিনটি ভুল সিদ্ধান্তই ওমর সানীর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেয়—
১️. কিংবদন্তি নির্মাতা আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আচরণগত বেয়াদবি,
২️. সহকারী পরিচালক আহমেদ আলী মণ্ডলকে চড় মারা এবং
৩️. নায়িকা মৌসুমীকে বিয়ে করা।

রবিউল ইসলাম রাজ বলেন, ১৯৯৩ সালের দিকে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ১ জন সন্ত্রাসী ছবিতে ওমর সানীকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুটিংয়ের সময় সামান্য একটি ঘটনার পর পরিচালক এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, মাত্র দুই দিন কাজ করার পরই তাকে বাদ দেন।

দ্বিতীয় ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে রাজ জানান, নায়িকা মৌসুমী প্রযোজিত গরিবের রানী ছবির শুটিং চলছিল নারায়ণগঞ্জের পপুলার স্টুডিওতে। সেখানে সহকারী পরিচালক আহমেদ আলী মণ্ডলকে ওমর সানী প্রকাশ্যে চড় মারেন। বিষয়টি এতটাই আলোচিত হয় যে, সহকারী পরিচালক সমিতি (সিডাব) সিদ্ধান্ত নেয়—ওমর সানীর ছবিতে কেউ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন না। পরে পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এফডিসিতে তাকে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে হয়।

তৃতীয় কারণ হিসেবে রাজ বলেন, ১৯৯৬ সালের ২ আগস্ট মৌসুমীকে বিয়ে করার পর প্রযোজক-পরিচালকদের অনেকেই তাদের জুটির ছবি নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি। অনেক প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়, ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কায় নতুন কাজও কমে আসে।

তবে নির্মাতার এই সমালোচনার মাঝেও তিনি প্রশংসা করতেও ভোলেননি। তার ভাষায়, ওমর সানীর মতো স্মার্ট ও পরিপূর্ণ হিরো বাংলা সিনেমায় আর আসেনি। তার ব্যক্তিত্ব, ফিগার আর স্টাইলই তাকে রিয়েল হিরো বানিয়েছিল।

এম

Link copied!