‘আয়নাবাজি’ নয়, গত বছরের সেরা ছবি ‘বাদশা’

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০১৭, ০৫:৪৩ পিএম
‘আয়নাবাজি’ নয়, গত বছরের সেরা ছবি ‘বাদশা’

ঢাকা: ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সব মিলিয়ে ৫৭টি ছবি। এরমধ্যে বাণিজ্য সফল বা আর্থিক আয়ের দিক থেকে সিনেমার সংখ্যা খুবই সামান্য। এমনকি বেশীর ভাগ ছবিই নির্মাণ ব্যয়ই তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে অমিতাভ রেজার আয়নাবাজি’কে ২০১৬ সালের সবচেয়ে বেশী আয় করা সিনেমা বলা হলেও, সর্বোচ্চ আয় করে প্রথম স্থানটি দখলে নিয়েছে কলকাতার জিৎ অভিনীত ছবি ‘বাদশা’। এমনটিই জানিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

গেল বছরে মুক্তি পাওয়া আলোচিত ও আয়ের দিক থেকেও সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসেবে তালিকার প্রথমস্থানে ধারনা করা হতো অমিতাভের আয়নাবাজিকে। কিন্তু সে অনুমান মোটেও নাকি সত্যি নয়। বরং বিগত বছরে সবচেয়ে বেশী আয় করে বাণিজ্যসফল ছবির তালিকায় প্রথম স্থানটি ‘বাদশা’র। 

এমন তথ্যই জানিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। দেশের ভেতর বাংলা সিনেমার ডিস্ট্রিবিউশন এবং সিনেমার সঠিক আয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেনি। তাই একেকজন একেক সিনেমাকে বাণিজ্যসফল বলে প্রচার করছেন। মূলত সিনেমা নিয়ে এসব ধুম্রজাল যাতে করে সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই একটি সঠিক হিসেব নিয়ে সবার সামনে জাজ।

জাজ মাল্টিমিডিয়া বাণিজ্যসফল ছবির তালিকা প্রকাশ করে জানায়, আমরা সম্প্রতি লক্ষ করছি বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে ২০১৬ সালের বিভিন্ন সিনেমার হিসাব নিকাস ব্যবসা ক্ষতির তালিকা দিচ্ছে। যা পরিপূর্ণ নয়, বা যা ১০০% সঠিক নয় । কিন্তু সব পত্রিকাই একটি সঠিক তথ্য দিয়েছে, তা হলো - বাদশা, শিকারি ও আয়নাবাজি- সেলের দিক থেকে প্রথমে ছিল।

সঠিক হিসেবে শুধু জাজের কাছেই আছে দাবী করে আরো বলা হয়, প্রতিটা সিনেমা হলের প্রতি শো এর সেলের হিসাব সবার আগে আসে জাজ এর কাছে । সেই আলোকে ২০১৬ সালের ১০০% সঠিক তথ্য তুলে ধরছি সবার জন্য। এই তথ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সিনেমা হলের সেলের উপর ভিত্তি করে, এখানে কোন সিনেমার বহির্বিশ্বের সেল যোগ করা হয়নি। বক্স অফিসের সেল অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সিনেমার নাম দেওয়া হল। 
১। বাদশা (জিৎ, ফারিয়া) 
২। শিকারি (শাকিব, শ্রাবন্তী) 
৩। আয়নাবাজি (চঞ্চল, নাবিলা)-পাইরেসি না হলে হয়তো সিনেমাটা ১ নাম্বারে চলে যেত
৪। বসগিরি (শাকিব, বুবলি) 
৫। নিয়তি (শুভ, জলি) 
৬। রক্ত (রোশান, পরিমনি)

চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ৬টি সিনেমার মধ্যে পাঁচটিই জাজ মাল্টিমিডিয়ার। এতে আনন্দ প্রকাশ করে জাজ মাল্টিমিডিয়ার পক্ষ থেকে এই বছরটিকে নিজেদের সফল বছর বলে মনে করছেন। শুধু তাই না, সেই সাথে বাংলা সিনেমা নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন। বাংলা সিনেমা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, দুঃখের বিষয় হচ্ছে বছরের শেষ দিকে এসে, চলচ্চিত্র আবার মুখ থুবড়ে পরেছে। কোরবানি ঈদের পর থেকে কোনো সিনেমাই ৪০ লক্ষ টাকার বেশী ব্যবসা করতে পারেনি। আর বেশিরভাগ সিনেমা তাদের পোস্টার পাবলিসিটি ও রিলিজি এর খরচই তুলতে পারে নাই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Link copied!