শত্রুমুক্ত বাংলার প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’: সোহেল রানা

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৭, ০৭:৪৪ পিএম
শত্রুমুক্ত বাংলার প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’: সোহেল রানা

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবেই এতো শোনা যেতে ঐতিহাসিক সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’-এর নাম। তবে এমন তথ্যে আপত্তি আছে এই ছবির প্রযোজক ও অভিনেতা মাসুদ পারভেজের(সোহেল রানা)। তিনি ‘ওরা ১১ জন’কে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ছবি হিসেবে নয়, বরং পাক হানাদার থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা বলে ‘ওরা ১১ জন’ ছবিটির কথা উল্লেখ করেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ওরা ১১ জন’ ছবিটির শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা। আর এই অনুষ্ঠানেই ছবিটির প্রযোজক ও অভিনেতা মাসুদ পারভেজ সংশোধনী করে এমন তথ্যই জানান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘ওরা ১১ জন’ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। বজুবার বহুভাবে আকারে ইঙ্গিতে বলেছি, কিন্তু এখনো এই ঐতিহাসিক সিনেমাটি নিয়ে কোনো সম্মান পাইনি। তবে একটা কথাই বলবো, এই ছবিটিকে বারবার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ছবি বলা হচ্ছে। সবার জ্ঞাতার্থে বলছি, এটা শুধু মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ছবিই নয়, বরং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীন দেশের আকাশে বাতাসে স্বাধীনভাবে নির্মিত হওয়া ও মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র! 

বহুদিন পরে হলেও অন্তত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ‘ওরা ১১ জন’কে সম্মান দেখাতে যে উৎসবমূখর একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সেজন্য সমিতির নেতাদের ধন্যবাদ জানান সোহেল রানা। এরসঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পয়তাল্লিশ বছর হয়ে গেলো, অথচ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলও ‘ওরা ১১ জন’-এর শিল্পী ও কলাকুশলীদের ডেকে কোনোদিন সম্মান করেনি।

ওরা ১১ জন-এর সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন এফডিসির এমডি তপন কুমার ঘোষ ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চেীধুরী।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- ছবির অভিনয়শিল্পী খসরু, সৈয়দ হাসান ইমাম, মিরানা জামান, নায়ক রাজ রাজ্জাক, সংলাপ লেখক ও অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান,  নূতন, কাজী ফিরোজ রশীদ, ছবির পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, প্রযোজক সোহেল রানা, চিত্রনাট্যকার কাজী আজিজ, পরিবেশক ইফখারুল আলম, প্রধান সহকারী পরিচালক শামসুল আলম।      

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Link copied!