কেন জেল খেটেছিলেন এই অভিনেত্রীরা?

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০১৮, ০২:৪৩ পিএম
কেন জেল খেটেছিলেন এই অভিনেত্রীরা?

ঢাকা : অপরাধ করলে শাস্তি হবে এমন নীতির উর্ধে নয় বিনোদন ভুবনের তারকারা। বিভিন্ন সময় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আইনের শেকলে বন্দি হয়েছেন অনেক তারকা। সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত, জন আব্রাহামের মতো অনেক বলিউড অভিনেতা জেলে গিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন। শুধু অভিনেতাই নন, এই তালিকায় বলিউডের অনেক অভিনেত্রীও রয়েছেন যাঁরা তাঁদের অপরাধের জন্য কারাবাস করেছেন। আজ এমন কিছু অভিনেত্রীর বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন-

Monika

মনিকা বেদি : নব্বইয়ের দশকের এই অভিনেত্রী ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘বিগ বস ২’ এর মধ্যদিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। মুম্বাইয়ের কুখ্যাত ডন আবু সালেমের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন। সে সময় আবু সালেমের সংগে বেশ কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ান। ২০০২ সালে এক জালিয়াতি মামলায় মনিকা ও আবু সালেমকে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় আদালত মনিকাকে ৫ বছরের জেল দেয়।

Momota

মমতা কুলকার্নি : ক্যারিয়ারে ‘আশিক আওয়ারা’, ‘করণ অর্জুন’ এর মতো অসংখ্য ব্যাবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ‘শেষ বংশধর’ নামে একটি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু মমতা তাঁর কথিত গ্যাংস্টার বন্ধু ভিকি গোস্বামীর সংগে মাদক চোরাচালানের সংগে জড়িয়ে যান। এমন অভিযোগে ২০১৪ সালে পুলিশ তাঁদেরকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে গ্রেপ্তার করে। শুধু তা-ই নয়, দুবাইতেও মমতা মাদক চোরাচালানের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে সেখানকার একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে উঠে আসে।

Sonali

সোনালী বান্দ্রে : ১৯৯৮ সালে এক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে সোনালীর খোলামেলা ছবি নিয়ে বেশ বিতর্ক দেখা দেয়। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কিছু রক্ষণশীল মানুষ। সেই ক্ষোভ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এরপর ২০০১ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। খুব স্বল্প সময়ের জন্য জেলে যান সোনালী। সে সময় এক নারী ম্যাজিস্ট্রেট ১২ হাজার টাকার বন্ড সই করিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।

Modhubala

মধুবালা : বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই নায়িকাও কারাবাস করেছেন। ১৯৫৭ সালে এক জালিয়াতি মামলায় জেলে যান মধুবালা। ‘নয়া দৌড়’ নামে একটি ছবিতে চুক্তির টাকা নিয়েও শুটিং করেন নি বলে অভিযোগ করেন ওই ছবির পরিচালক বিআর চোপড়া। মামলায় পুলিশ মধুবালাকে গ্রেপ্তার করে।

Tabu

টাবু : ১৯৯৮ সালে সালমান খান রাজস্থানের যোদপুরে ‘ব্ল্যাক বাক’ নামক এক বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করে। ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় সেখানে উপস্থিত সাইফ আলী খান এবং টাবু ফেঁসে যান। ২০১৩ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে এবং ৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

Seta

শ্বেতা প্রসাদ বসু : ২০০২ সালে ‘মাকদি’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করে শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এই অভিনেত্রী। বেশকিছু চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। কিন্তু একসময় অভিনয়ের সুযোগ না পেয়ে ধীরে ধীরে পর্দার আড়ালে চলে যান শ্বেতা। অর্থাভাবে জড়িয়ে পড়েন পতিতাবৃত্তিতে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটি হোটেলে হায়দারাবাদ পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েন এই অভিনেত্রী। পরবর্তীতে শ্বেতা সবকিছু অকপটে স্বীকার করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!