গাজী রাকায়াতের ‘মেসেঞ্জারে কু প্রস্তাব, মিডিয়ায় তোলপাড়

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০১৮, ০১:১৬ পিএম
গাজী রাকায়াতের ‘মেসেঞ্জারে কু প্রস্তাব, মিডিয়ায় তোলপাড়

গাজী রাকায়েত ও তার ম্যাসেঞ্জারের স্কীনশর্ট

ঢাকা: নাট্য পরিচালক সংগঠনের সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেতা গাজী রাকায়েতের বিরুদ্ধে এক নারীকে মেসেঞ্জারে কু প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে গাজী রাকায়েতের ম্যাসেঞ্জার থেকে ওই নারীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযোগকারী মেসেঞ্জারের কথপোকথনের স্ক্রিন শট একটি ক্লোজ গ্রুপে প্রকাশ করে দিয়েছেন। আর এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় হৈচৈ।

তবে এদিকে গাজী রাকায়েতও তার ম্যাসেঞ্জার থেকে সেসব কথোপকথনের কথা স্বীকার করলেও সেটি নিজে করেননি বলে দাবি করেছেন। অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, গত ৪-৫ দিন আগে একদিন মধ্যরাতে ম্যাসেঞ্জারে তাকে নক করেন রাকায়েত। বছরখানেক আগে রাকায়েতই তাকে খুঁজে বের করে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠান।

ওই নারী আরও বলেন, তিনি গাজী রাকায়েতের অভিনয়ের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। তবে রাকায়াতের এমন নোংরামির সঠিক বিচার কিংবা রাকায়েত যেন তার অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা চান সে দাবি জানান তিনি।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, রাকায়েত নিজে জেনে-বুঝেই তার নিজস্ব আইডি থেকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। এখন একবার বলছেন যে, তার আইডি হ্যাক হয়েছে তো আবার বলছেন তার ম্যাসেঞ্জার ঘনিষ্ঠ একাধিকজন ব্যবহার করতো।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী মেয়েটিকে চিনেন না দাবি করে গাজী রাকায়েত তার ম্যাসেঞ্জার থেকে এসব কথপোকথনের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি আরো দাবি করেন, তার ম্যাসেঞ্জারের পাসওয়ার্ড তার ছাত্র ও পরিচিতজনসহ ৫/৬ জনের কাছে ছিল। তারা কেউ এ কাজ করেছে বলে তার দাবি। 

তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ভাই বলুনতো এতো রাতে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কেউ এসব লিখবে? পাগলেও কি একাজ করবে? রাকায়েত বলেন, কে করেছে তা প্রায় চিহ্নিত হয়েছে। আমি নাম বলতে চাই না। ধরে নেন আমার কাজের ছেলে করেছে। 

পরিচালকদের সংগঠন এবং সুপরিচিত নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদের সহায়তায় বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা হবে বলেও জানান রাকায়েত। তার দাবি, পত্রিকা সংশ্লিষ্ট কেউ ভুক্তভোগীর পক্ষ হয়ে এসব প্রকাশ করেছে। তিনি নিজে এবং নাট্য পরিচালকেদের সংগঠনও বিষয়টি সুরাহারর চেষ্টা করছে বলে জানান গাজী রাকায়েত।

এ বিষয়ে তিনি নাট্য পরিচালকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। অলিকও দাবি করেন, প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন গাজী রাকায়াতের স্কুলের কিছু ছাত্রসহ যারা পাসওয়ার্ড জানতো তারা এ কাজটি করে থাকতে পারে।

এদিকে শনিবার বিকেলে এবিষয়ে একটি আপস-মীমাংসার চেষ্টায় শিল্পী সমিতি, প্রযোজক সমিতি এবং ডিরেক্টরস গিল্ট নামে নাট্যজগতের তিন সংগঠনের নেতারা অভিযোগকারীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজধানীর নিকেতনে আলোচনায় বসেন। যেখানে অভিনেত্রী সুইটি, হৃদি হক, অলিক, রনকসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার আলোচনার পর রাকায়াতের পক্ষে বিষয়টি তদন্তে করে সঠিক সত্য বের না করা পর্যন্ত অভিযোগকারীকে অপেক্ষা করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনটি সংগঠনের সম্মানে আমি হয়তো কয়েকদিন অপেক্ষা করব। কিন্তু কালক্ষেপণ করে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করা হলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। সূত্র: পরিবর্তন ডটকম

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Link copied!