তাড়াশে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

  • তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৪:১৬ পিএম
তাড়াশে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় কুমড়া বড়ি তৈরি করে তা বিক্রি  করে ভাগ্য উন্নয়ন হয়েছে অসচ্ছল পরিবারের অনেকের। তবে এ বছর কুমড়ো বড়ির দাম নিয়ে হতাশ কারিগররা।

শীতের আগমনী বার্তা কড়া নাড়ছে চলনবিল এলাকার এ উপজেলায়। তাই প্রতি বছরের মত শুরু হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া বড়ি তৈরি করতে। কারণ আগাম কুমড়া তৈরির পর বিক্রি করলে তা লাভজনক ও বেশি দাম পাওয়া যায়।

এদিকে কুমড়া বড়ি তৈরিতে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে থাকে। হাট বাজারে কুমড়ো বড়ি বর্তমানে খুচরা ৮০ -৯০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে। তবে কারিগররা আশা করছেন আর কয়েকদিন পর আরো দাম বাড়বে।

তাড়াশ উপজেলার কুমড়া বড়ির ব্যবসায়ীরা জানান, অত্যান্ত সুস্বাদু হওয়ায় এ অঞ্চলের কুমড়া বড়ি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। বিশেষ করে ঢাকায় চাহিদা রয়েছে বেশি। তারা আরো জানায়, এটি সারা বছর তৈরি করা সম্ভব কিন্তু এটা শীতকালে বেশী তৈরি হয়। কারন এটা শীতের সময় রান্না করে খেতে বেশি মজা লাগে।

জানা যায়, গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের অনেকের ভাগ্য উন্নয়নে শ্রম দিয়ে অনেক বছর ধরে এ কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের প্রায় ৩০-৪০ টি পরিবার।কুমড়া বড়ির কারিগর উপজেলার নওগাঁ গ্রামের মথুরা পাড়ের শুকুমার জানান, আগে কুমড়া বড়ি ব্যবসায়ী পরিবারগুলো প্রথম অবস্থায় তেমন সচ্ছল ছিল না। এখন তারা অনেকটাই সচ্ছল কুমড়া বড়ি ব্যবসা করে।

তাছাড়া বড়ি তৈরির জন্য আগে তারা সনাতন পদ্ধতিতে সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রাখতেন এবং পরের দিন তারা কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য ডাল, রং,তেল,টিন ও শীলপাট বেটে বড়ি তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের কষ্ট করতে হয় না। কারণ মেশিনের মাধ্যেমে কুমড়া বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা যায়।

নওগাঁ গ্রামের পলক জানান, কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন অতোটা পরিশ্রম করতে হয় না কারন এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল ফিনিশ করা হয়। শুধু হাতে মাধ্যমে দিতে হয় বড়িটি। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ছোয়ায় অটোমেশিনের দ্বারা ডাল ও চাল ভাঙ্গানো হয়। তাই পরিশ্রম এখন কম।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!