মেয়েদের খতনা দেয়ার প্রথা রয়েছে যেসব দেশে

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৭, ০৯:১৫ পিএম
মেয়েদের খতনা দেয়ার প্রথা রয়েছে যেসব দেশে

ঢাকা: ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী ছেলেদের সুন্নাতে খাতনার কথা সবার জানা। শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, এখন অনেক ধর্মেই ছেলেদের খাতনার করানো হয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (এইচডাব্লিও) হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর এমন কিছু দেশ বা স্থান রয়েছে যেখানে মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদন বা খাতনা দেয়া (Female Genital Mutilation) হয়। 

এইচডাব্লিও এর প্রতিবেদনে জানানো হয় বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে মেয়েদের খাতনা করানো হয়। এর ভয়াবহতা আরো বাড়ছে। এই বিভৎস প্রথা চালু রয়েছে শুধু মুসলিমদের মধ্যে নয় রয়েছে খ্রিস্টানদের মধ্যেও। আফ্রিকার দেশ সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, চাদ, বুরকিনা ফাসো, সেনেগাল, মিসরসহ আরও কিছু আফ্রিকান দেশে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের কিছু অংশে এবং মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কোথাও কোথাও চর্চা করা হয়। শুধু আফ্রিকাতেই প্রতি বছরে তিরিশ লক্ষ মেয়েকে এই নারকীয় প্রথার শিকার হতে হয়।

মুসলিম আলেমরা দাবি করেন, এই প্রথার সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। এই প্রক্রিয়ায় মেয়েদের মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে ৫৫ শতাংশ। 

শুধু অফ্রিকার বা এশিয়াতেই নয় ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও রয়েছে মেয়েদের খতনা দেয়ার প্রথা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ভয়াবহতা যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে অফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীরা এর প্রথার প্রাচালন ঘটাচ্ছে।

ব্রিটিশ দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথাটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও ব্রিটেনের মুসলমানরা গোপনে এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের সংবাদমাধ্যমদের খবর অনুযায়ী, প্রতি বছর পাঁচশোরও বেশি মেয়েকে খতনা দেয়া হয়েছে। অথচ এ বছরে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার।

উল্লেখ্য, মুসলিমরা পুরুষদের খাতনা করাসহ আল্লাহর নবী ও মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সুন্নাত হিসেবে বেশ কয়েকটি সুন্নাত পালন করে থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Link copied!