স্টিফেন হকিংয়ের আহ্বান নিয়ে সন্দেহ!

  • ফেসবুক থেকে ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৭, ০৬:৩৫ পিএম
স্টিফেন হকিংয়ের আহ্বান নিয়ে সন্দেহ!

ঢাকা: জীবন্ত কিংবদন্তী আধুনিক যুগের বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং সম্প্রতি বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মানবসৃষ্ট কারণেই পৃথিবীর আয়ু কমে আসছে। মাত্র আর কয়েকশ বছর। এরপরেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই দ্রুত ভিনগ্রহে বসতি স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। স্টিফেন হকিং এর এই আহ্বান নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন Rakhal Raha. তিনি লিখেছেন-

স্টিফেন হকিং-- নোবেল নাপাওয়া নোবেল-বিজয়ীর চেয়ে বড় বিজ্ঞানী-- মাঝে মাঝেই মানব জাতিকে চাবুক কষেন, বিকল্প পৃথিবী খোঁজার! আমার খুব অদ্ভূত একটা ভাবনা কাজ করে। এই পৃথিবীকে রক্ষার আহ্বান তিনি কবে জানালেন? এই যে মায়াময় মাঠ-প্রান্তর, নদী-পাখি-সমুদ্র, ফুল-ফসল, খোলা হাওয়া আর আলোছায়া ঝিলমিল, যার সন্তান আমি-আপনি সবাই-- সে আর আপনাকে বাঁচাতে পারবে না? আপনি নিশ্চিত?

আপনি নিশ্চিত যে, এই নীল গ্রহটাকে টেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা ছেড়ে ভিনগ্রহের সন্ধান করে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করাই মানব-প্রজাতির টিকে থাকার একমাত্র বিকল্প?

অথচ আপনার আবির্ভাব, বিকাশ আর টিকে থাকার এমন অবিশ্বাস্যরকম যাদুকরী সম্মিলন নিয়ে এই ছোট্ট পৃথিবীটাকে আপনি পেয়েছিলেন এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সীর বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্রের মাঝে! তাহলে আপনার এই মাতৃসম গ্রহটাকে ধ্বংস করলো কে? কে এই পরম নিরাপত্তাকে ধ্বংস করে চরম অনিরাপত্তায় মুক্তির কথা ভাবতে পারে?

একবার ভাবুন তো, আপনার সন্তান-পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে যে, দিনে দিনে আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে আর আপনি ব্রহ্মাণ্ডের অসীমের দিকে তাকিয়ে আছেন এর কোন প্রান্তে আপনার সন্তানের বাঁচার নিশ্চয়তা আছে এই ভাবনায়! ভাবুন তো একবার যে, দেশ নয়, মহাদেশ নয়, সাতচল্লিশের কোনো দেশবিভাগ নয়, একেবারে পৃথিবী ছেড়ে ওদের নিয়ে ভিন গ্রহে বসবাসের অনিশ্চিত এক জীবনের দিকে ছুটছেন! 

এই ছোটার প্রতিযোগিতায় পূর্ব-পশ্চিম পৃথিবীর কে থাকবে এগিয়ে?

আমার কেমন যেন অদ্ভুত সন্দেহ তার ঠিক এ ধরণের আহ্বানকে ঘিরে। মানব-প্রজাতির টিকে থাকা নিয়ে যিনি এত উদ্বিগ্ন, সেই তিনি মানবের এমন স্বর্গ যারা ধ্বংস করলো তাদের দায়ী করে কবে কথা বললেন? তার এই আহ্বানকে আমার বিজ্ঞানের নয়, পশ্চিমের আহ্বান মনে হয়। মানবের অস্তিত্ব আর মানবের কল্যাণ ভাবনায় পশ্চিমের যে কোনো আহ্বান নিয়ে সন্দেহ রাখাই উচিত। (রাখাল রাহা, ২৪শে জুন ২০১৭)

সোনালীনিউজ/এন

Link copied!