দেশত্যাগের চেষ্টায় বিমানের টিকিট সংগ্রহ মুরাদের 

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ১১:১৫ এএম
দেশত্যাগের চেষ্টায় বিমানের টিকিট সংগ্রহ মুরাদের 

ফাইল ছবি

ঢাকা : নারীবিদ্বেষী অসৌজন্যমূলক বক্তব্য ও ফোনালাপে অশালীন কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সদ্য তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা এবং জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ পাওয়া ডা. মুরাদ হাসান দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে দেশের বাইরে যেতে বিমানের একটি টিকিটও সংগ্রহ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, গত সোমবার সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মধ্যেই চট্টগ্রামে চলে যান ডা. মুরাদ। অশালীন, শিষ্টাচার-বহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় ওই রাতেই পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পান। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তখন থেকেই সম্ভাব্য কোন দেশে যাওয়া যায় তার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। পরে চূড়ান্তভাবে কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ডা. মুরাদ। প্রথমে সপরিবারে যাওয়ার চিন্তা থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ভিসা না থাকায় নিজেই দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন তিনি।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় মুরাদের যে লাল পাসপোর্ট (বিশেষ পাসপোর্ট) ছিল, সেটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কাছে থাকলেও পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে ব্যক্তিগত একজন সহকারীকে দিয়ে তা নিজের কাছে নেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের পর লাল পাসপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেটি জমা দেননি।

যদিও লাল পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে যেতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। লাল পাসপোর্টধারী ব্যক্তি সরকারি আদেশ (জিও) ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে সদ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ জিও না থাকায় বিদেশগমনে জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় তার বিদেশগমন অনিশ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে ডা. মুরাদ হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এরআগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠান ডা. মুরাদ। পরে দুপুর ৩টায় তার পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তরে জমা দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এ পদত্যাগপত্রে বলা হয়, গত ১৯ মে ২০১৯ স্মারকমূলে আমাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আমি অদ্য ৭ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।

এতে বলা হয়, এমতাবস্থায় আপনার নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, আমাকে অদ্য ৭ ডিসেম্বর তারিখ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদানের লক্ষ্যে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি।

পরে মঙ্গরবার রাতেই প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। সূত্র : জাগো নিউজ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!