করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২০, ০৯:১৫ পিএম
করোনাভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মধ্যে পার্থক্য

ঢাকা: কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। পুরো পৃথিবীর মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম এই ক্ষুদ্র জীবাণু। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের দিন-রাত পরিশ্রমের পরেও নির্ভরযোগ্য কোনো সমাধান মেলেনি এখনও।

আর এমন অবস্থায় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর-সর্দি দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়েও থাকা যায় না। যেহেতু এই সময়টি ঋতু পরিবর্তনের সময়, তাই অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই জ্বর-সর্দি হলেই তা করোনাভাইরাস ভেবে নেবেন না।

চিকিৎসকদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গের সঙ্গে করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রায় এক হলেও, খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্যের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাকে আলাদা করা সম্ভব। বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে করোনা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এই দুটি ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে পার্থক্যগুলো কী-

ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণ:
* এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর ও গা ম্যাজম্যাজে ভাব দেখা দেয়।
* জ্বর সাধারণত দুই থেকে তিন দিন বা খুব বেশি হলে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে ওঠে।
* সামান্য সর্দি ভাব, কখনও কখনও আবার নাক দিয়ে পানি পড়ে।
* এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে হাঁচি এবং হালকা কাশিও থাকে।
* সারা গায়ে ব্যাথা ও অসহ্য মাথার যন্ত্রণা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের পরিচিত লক্ষণ:
* জ্বর
* শুকনো কাশি
* শারীরিক দুর্বলতা
* গলা ব্যথা কম সাধারণ লক্ষণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাভাইরাসের কম পরিচিত লক্ষণ:
* পা, হাত ও শরীরের অসহ্য যন্ত্রণা
* পেট খারাপ
* মাথার যন্ত্রণা
* স্বাদ ও ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলা
* ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া
* পায়ের আঙ্গুলে লালচেভাব জন্ম নেয়া বা বিবর্ণতা।

গুরুতর লক্ষণ
* শ্বাসকষ্ট
* বুকে অসহ্য ব্যথা।

করোনাভাইরাসের এসব লক্ষণ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার দিন থেকে মাত্র ৫ দিনের মাথায় দেখা দেয়। কখনো কখনো লক্ষণ দেখা দিতে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্তও সময় লাগে।

যেসব সতর্কতা মেনে চলবেন:
* উভয়ের ক্ষেত্রেই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা। কারণ এই দুই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখতেই হবে।
* ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বিশেষ করে হাত ধোয়া এবং হাত স্যানিটাইজ করা।
* সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা।
* বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা।
* হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু ব্যবহার করা।
* এই ধরনের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
* ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনা শনাক্ত করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করান।
* উভয় রোগের ক্ষেত্রেই এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে বাড়ির অন্যান্য সদস্যের থেকে আলাদা থাকুন।

লক্ষণ যাই হোক না কেন, উভয় রোগই শরীরের জন্য মারাত্মক। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ, সামান্য অবহেলা আপনাকে বড় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে পারে। সতর্ক হন এবং সুস্থ থাকুন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Link copied!