সাপে কাটলে সতর্কতা

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৬, ১১:৩২ এএম
সাপে কাটলে সতর্কতা

বিষধর সাপের কামড়ে ওঝার মাধ্যমে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা, রোগীকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিকিৎসা না করার ফলে অনেক প্রাণ অকালে ঝরে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। এ ক্ষেত্রে যা করবেন-

* সাপে কাটলে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে বসে থাকুন। আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াচাড়া করবেন না। একটি লম্বা কাঠ ও কাপড়ের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানটি বেঁধে ফেলুন। খুব বেশি শক্ত করে বাঁধবেন না, এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন আক্রান্ত অঙ্গ ও কাপড়ের মাঝে কষ্ট করে একটি আঙুল ঢোকানো যায়।

* আক্রান্ত স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে, রক্তক্ষরণ হলে, চোখের পাতা পড়ে গেলে, ঘাড় শক্ত রাখতে না পারলে, হাত-পা অবশ হয়ে এলে ও শ্বাসকষ্ট হলে একটুও দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

* সাধারণত নির্বিষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত স্থানে সামান্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা অল্প ক্ষত সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে এসব লক্ষণ থাকলেও ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, যেকোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

* বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজে এবং কিছু কিছু জেলা সদর হাসপাতালে সাপের বিষের প্রভাবপ্রতিরোধী ওষুধ (অ্যান্টিভেনোম) রয়েছে। এটিই বিষধর সাপে কাটা রোগীর জন্য একমাত্র চিকিৎসা। রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে এলে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রয়োজনও হতে পারে। মনে রাখবেন, এসব চিকিৎসা শুধু হাসপাতালেই করানো সম্ভব, অন্য কোথাও নয়।

যা করবেন না : আক্রান্ত স্থান কাটবেন না। দড়ি দিয়ে খুব শক্ত করে বাঁধবেন না। আক্রান্ত স্থান থেকে মুখের সাহায্যে রক্ত বা বিষ টেনে বের করার চেষ্টা করবেন না। আক্রান্ত স্থানে গোবর, শিমের বিচি, আলকাতরা, ভেষজ ওষুধ বা কোনো প্রকার রাসায়নিক লাগাবেন না এবং  অ্যান্টিহিস্টামিন ইনজেকশন প্রয়োগ করবেন না।

ডা. ফরহাদ উদ্দিন চৌধুরী
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

 

Link copied!