করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘আকটুরুস’ ভারতসহ ৩৪ দেশে ছড়িয়েছে

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘আকটুরুস’ ভারতসহ ৩৪ দেশে ছড়িয়েছে

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘আকটুরুস’ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে প্রথম শনাক্ত হলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়েছে ৩৪ দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্টটি মনিটরিং করছে। বৈজ্ঞানিকভাবে ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘এক্সবিবি.১.১৬’ নামে চিহ্নিত করলেও সবার কাছে সহজবোধ্য হিসেবে ভ্যারিয়েন্টটিকে ‘আকটুরুস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আকটুরুস উত্তর মেরু অঞ্চলের আকাশে সবচেয়ে উজ্জল একটি নক্ষত্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটিকে মধ্য এপ্রিলে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আকটুরুস গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত ২১ দেশে শনাক্ত হলেও এপ্রিলের ১৫ পর্যন্ত ভাইরাসটিকে আরো ৭ দেশে শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট আকটুরুস প্রথম শনাক্ত হলেও বাংলাদেশে এটা নিয়ে গবেষকরা কাজ করছেন কি না তা জানা যায়নি।

টোকিও ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আকটুরুস এর আগের সর্বশেষ ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট ক্রাকেন এর চেয়ে কিছুটা বেশি শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাজ্যের লিচেস্টার ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মুনির বলছেন, আকটুরুসকে ভাইরাস অব ইন্টারেস্ট বলা হচ্ছে কারণ এটি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশেও বিস্তার ঘটছে। মুহাম্মদ মুনির বলছেন, এক্সবিবি.১.১৬ অনেক বেশি ট্রান্সমিসিবল (বিস্তারের ক্ষমতা সম্পন্ন) এবং খুব সম্ভবত: এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (ইমিউন সিস্টেম) ফাঁকিয়ে দিতে সক্ষম হবে। সামনের দিনগুলোতে আকটুরুসই হতে পারে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন করোনা ভাইরাস। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আকটুরুস গত জানুয়ারি মাসে প্রথম শনাক্ত হয় এবং বলা হচ্ছে যে, এটা হয়তো পূর্বের ভাইরাসগুলোর মতো এতোটা মারাত্মক নাও হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্লিনিক্যালি এর মারাত্মক হওয়ার অবস্থাকে ‘লো’ বা কম হিসেবে দেখছে। 

আকটুরুসের একটি স্পাইক প্রোটিনে একটি অতিরিক্ত মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, এতে বুঝা যাচ্ছে যে আকটুরুস প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে মাঝারী ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন হতে পারে। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিস্তার ঘটার ক্ষেত্রে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হতে পারে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এই বিশ্ব সংস্থা আরো বলছে যে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আকটুরুস পূর্বের সবগুলো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে এবং আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা এই ভ্যারিয়েন্টটিকে মাঝারী ধরনের প্রতিরোধ করতে পারবে। গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য তার মূল্যায়নে বলেছে যে, এই ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটার ক্ষমতা রাখে। ভারতের হাসপাতালগুলোতে ইতোমধ্যে আকটুকুরস ভ্যারিয়েন্ট সম্বন্ধে সতর্কাবস্থায় রেখেছে। 

ইন্ডিয়ান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স কমিটি অন ইমিউনাইজেশনের সাবেক প্রধান, শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ভিপিন ভাশিস্থা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, আকটুরুসে আক্রান্ত হলে উচ্চ মাত্রার জ্বর হতে পারে, এটা এমন হতে পারে যে, এর আগের করোনার সবগুলো ভ্যারিয়েন্টের আক্রান্তের চেয়ে জ্বরের মাত্রা বেশি হতে পারে। সাথে থাকবে কফ এবং চোখে চুলকানি এবং জ্বলা-পোড়াও থাকতে পারে।  এছাড়া কফ ছাড়াও গলায় চুলকানি, সর্দি, অবসন্নতা, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা হতে পারে।

সোনালীনিউজ/এসআই/আইএ

Link copied!