পা ফাটা রোধে সহজ সমাধান

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০১৬, ১১:৪৮ এএম
পা ফাটা রোধে সহজ সমাধান

শুধু শীতকাল নয়, অনেকেরই সারাবছর পায়ের গোড়ালি ফাটে। এর কারণ- গোড়ালির ত্বকের শুষ্কতা বা স্তরীভূত মরাকোষ। অনেক বেশি হাঁটাচলা, দিনের দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদির কারণেও সারাবছর পা ফাটতে পারে। দীর্ঘদিনের পা ফাটা সমস্যা দূর করতে ছোট ছোট কিছু ব্যাপার লক্ষ্য রাখা জরুরি।

পা ফাটা রোধ করতে করণীয়

১. যদি খোলা স্যান্ডেল বা জুতো পরার অভ্যাস থাকে, তাহলে ১০ দিনে অন্তত একবার পেডিকিওর করা উচিত।
২. যাদের সবসময়ই পা ফাটে তারা কখনওই পা শুষ্ক রাখবেন না। প্রতিবার ভেজানোর পর ভালোভাবে মুছে পায়ের গোড়ালি ও পুরো পাতায় ভেসলিন লাগান।
৩. প্রতিদিন স্নানের সময় পিউমিক স্টোন ও ব্রাশ দিয়ে পায়ের গোড়ালি, নখ ও আঙুলের ডগা পরিষ্কার করুন। কারণ মরা কোষ জমে জমে পুরু স্তর তৈরি হয়, যার কারণে গোড়ালি শক্ত হয়ে যায় এবং পা ফাটে।  
৪. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি বা পানিজাতীয় খাবার কম খেলে ত্বকের শুষ্কতা, ঠোঁট বা পা ফাটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দৈনন্দিন পানি পানের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে আলাদা। আপনার শরীরের জন্য রোজ ঠিক কতটা পানি খাবেন তা সুযোগমতো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।

ঘরোয়া সমাধান

ভেজিটেবল অয়েল : অলিভ অয়েল, তিলের তেল, নারকেল তেল, সরষের তেল ও বাদাম তেল পা ফাটার সবচেয়ে সহজ সমাধান। ভালো ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে পা পরিষ্কার করে যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল ম্যাসাজ করে ঘুমান।

চালের গুঁড়া : আধকাপ চালের গুঁড়া, এক চা-চামচ মধু ও এক চা-চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন। খুব বেশি ফাটা হলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন।
 
লেবু : নিকটা গরম জলে লেবুর রস দিয়ে ৮-১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। 

গোলাপজল ও গ্লিসারিন : পা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ খুব কার্যকর। গ্লিসারিন ত্বক নরম রাখে। অন্যদিকে গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই। আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। একটি বোতলে সমপরিমাণে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে ম্যাসাজ করুন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
 

Link copied!