গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, রাফায় অভিযান ‘চালিয়ে যাবে’ ইসরায়েল

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, রাফায় অভিযান ‘চালিয়ে যাবে’ ইসরায়েল

ঢাকা: মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস মেনে নিলেও ইসরায়েল সেটি মানছে না। তাদের দাবি, শর্তগুলো তাদের দাবি অনুযায়ী হয়নি। 

এজন্য তারা রাফায় সামরিক অভিযান নিয়ে এগিয়ে যাবে পাশাপাশি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করেছে। 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

সাত মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের এমন এক সময় এ অগ্রগতি ঘটল যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় আকাশ ও স্থল থেকে হামলা চালানো শুরু করেছে আর বাসিন্দাদের শহরটির কিছু অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমনন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবগুলো ইসরায়েলের দাবি পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি কিন্তু তারপরও চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টায় মধ্যস্থতকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে তারা। 

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরু করতে মঙ্গলবার তাদের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাবে। নেতানিয়াহুর দপ্তর ওই বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রধামন্ত্রীর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সামাজিক মাধ্যম এক্স এ বলেছেন, রাফায় বোমাবর্ষণ করে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিকে ‘বিপদগ্রস্ত করছেন’।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা হামাস অনুমোদন করেছে তা মিশরীয় প্রস্তাবের একটি দুর্বল সংস্করণ আর এতে এমন উপাদান আছে যা ইসরায়েল মেনে নিতে পারবে না। “এটি ইসরায়েলকে চুক্তি প্রত্যাখ্যানকারী একটি পক্ষের মতো দেখানোর কৌশল হতে পারে,” বলেছেন তিনি।  

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়া নিয়ে ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করবে আর একটি চুক্তি ‘পুরোপুরিভাবেই অর্জনযোগ্য’।  

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে। ওই দিন থেকেই হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। তারপর থেকে সাত মাস ধরে চলা তাদের নির্মম হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ছয়শরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

এখন সত্যিই যদি কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয় তাহলে তা নভেম্বরের সপ্তাহব্যাপী ‘মানবিক বিরতির’ পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি হবে।

এআর

Link copied!