কিশোরীর সঙ্গে টানা দুই মাস অনৈতিক কাজ করে পুড়িয়ে মারলো প্রেমিক

  • সোনালীনিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০১৯, ০১:৪১ পিএম
কিশোরীর সঙ্গে টানা দুই মাস অনৈতিক  কাজ করে পুড়িয়ে মারলো প্রেমিক

ঢাকা : কিশোরীকে বন্দি রেখে বন্ধুদের নিয়ে টানা দুই মাস ধর্ষণ করার পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় প্রেমিকের মাসহ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানানো পরও পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারে কোন ভূমিকা না রাখার অভিযোগও এনেছে তার পরিবার। পুলিশ ও প্রশাসনের এমন ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শনিবার ভোররাতে নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে জিবি পন্থ হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।  আগুনে তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। এখন সেই খবর ছড়িয়ে পড়াই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ত্রিপুরায়।

অভিযুক্ত যুবককে নাম অজয় রুদ্রপাল। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তার মাকেও মারধর করে ‍উত্তেজিত জনতা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ ত্রিপুরার এসপি জয় সিংহ মীনা জানান, শান্তিরবাজার থানার পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্ত অজয়ের। কিছুদিনের মধ্যেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের মাঝে। সেই মতো দীপাবলির পর মেয়েটির বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান অজয়। তার কয়েকদিন পরই জোর করে ওই কিশোরীকে তিনি আটক করে রাখেন এবং ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবি করেন বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ।

সাংবাদিকদের মেয়েটির মা জানিয়েছেন, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে প্রথমেই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন তাঁরা। অজয় মুক্তিপণ দাবি করলে তা-ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও রকম সহযোগিতা করেনি। তাই মুক্তিপণের টাকা জোগাড় করতে শুরু করেন তাঁরা। কোনও রকমে ১৭ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলাম। শুক্রবার রাতে চান্দ্রপুর আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনালে অজয়ের মায়ের সঙ্গে দেখা করে টাকা তুলে দিই। কিন্তু মাত্র ১৭ হাজার টাকা পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উনি। বলেন, মেয়েকে ফেরত পেতে চাইলে যত শীঘ্র সম্ভব পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। এরই মধ্যে মেয়েকে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে পেরেছিলাম আমরা। শনিবার সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই ভোরবেলা মেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বলে খবর পাই।

সময় মতো খবর দিলেও নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে পুলিশের কেউ হাসপাতালে আসেননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর দাবি, হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও, তখনও কথা বলছে মেয়ে। তিনি জানান, অজয় এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে গত দু’মাস ধরে তাঁর মেয়েকে লাগাতার গণধর্ষণ করেছেন। মুক্তিপণের টাকা না পেয়েও অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় তার উপর। মাত্র ১৭ হাজার টাকা দেখে মেজাজ বিগড়ে যায় অজয়ের। তিনিই মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত অজয়। তাঁদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেই বাড়ি এসেছিলেন। প্রথমে সবই ঠিক ছিল। কিন্তু আটক করার দু’দিন পর থেকেই মা এবং‌ ছেলে মিলে মেয়েটির উপর অত্যাচার শুরু করেন। এর পর বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে এনে মেয়েটিকে বার বার ধর্ষণ করান অজয়। সেইসময় তাঁদের মেয়েকে ঠিক মতো খেতে দেওয়াও হয়নি বলে অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের।

সোনালীনিউজ/এএস

Link copied!