বাবার মৃত্যুদণ্ড নিজ চোখে দেখতে মেয়ের আর্জি, আদালতের প্রত্যাখ্যান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০২:১৩ পিএম
বাবার মৃত্যুদণ্ড নিজ চোখে দেখতে মেয়ের আর্জি, আদালতের প্রত্যাখ্যান

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে ২০০৫ সালে এক শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন কেভিন জনসন নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে এ হত্যার দায়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

কেভিন জনসন চেয়েছিলেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় তার মেয়ে খোরি রামে তার পাশে যেন থাকেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন খোরির পক্ষে আদালতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।

তবে ১৯ বছর বয়সী খোরির এ আবেদন রোববার প্রত্যাখ্যান করেছেন মিসৌরির আদালত। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে— মৃত্যুদণ্ড প্রত্যক্ষ করার মতো পর্যাপ্ত বয়স তার হয়নি।

মিসৌরিতে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় ইচ্ছে করলে পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকতে পারেন। তবে এজন্য বয়স নূন্যতম ২১ বছর হতে হবে। যেহেত খোরির বয়স ১৯ বছর। তাই তাকে এ সুযোগ দেওয়া হবে না।

খোরির বয়স যখন মাত্র দুই বছর ছিল তখনই কেভিনকে জেলে নেওয়া হয়। ফলে ছোট বেলা বাবাকে ছাড়া বড় হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু বড় হওয়ার পর বাবাকে ফোন, চিঠি এবং ই-মেইল পাঠানো শুরু করেন তিনি। এমনকি গত মাসে নিজের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে জেলের ভেতর সময় কাটিয়ে এসেছিলেন খোরি।

ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাবার অন্তিম মুহূর্তে পাশে না থাকতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন খোরি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত ব্যথিত কারণ বাবার শেষ মুহূর্তে তার পাশে থাকতে পারব না।’ খোরি বিবৃতিতে আরও জানান, জেলে থাকাকালীন সময়ে তার বাবা নিজেকে শুধরে নেওয়ার সব চেষ্টা করেছেন। এখন তার আশা মিসৌরির গভর্নর তার বাবাকে ক্ষমা করে দেবেন।

সূত্র: বিবিসি

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!