জাপানে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৬, ১১:০৫ এএম
জাপানে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাত

জাপানে উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লি এলাকায় উচ্চমাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এরপর ১ দশমিক ৪ মিটার উচ্চতার একটি সুনামি আঘাতে হানে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে রিখটার স্টেলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর এই সুনামি আঘাত হানে।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে সেন্দাই বন্দরে ১ দশমিক ৪ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হেনেছে। ২০১১ সালের মার্চের ১১ তারিখের পর জাপানে এটাই সবচেয়ে বড় সুনামি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের পর জাপানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ১০ ফুট উচ্চতার সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের ৩০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। সুনামির প্রাথমিক সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছিল, ১০ মিটার উচ্চতার ঢেউ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে সকাল ১০টার পর সতর্কতার মাত্রা কমিয়ে দেয়া হয়। মায়াগি প্রিফেকচারেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) প্রথম দিকে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ দশমিক ৩ জানালেও পরে তারা জানায় রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকিম্প হয়েছে। তবে তা জাপানের আবহাওয়া সংস্থার পরিমাপ থেকে কম।

এর আগে, ২০১১ সালে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ফুকুশিমা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জাপানের মন্ত্রিসভার মুখ্যসচিব ইয়োশিহাইদ সুগা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুকেন্দ্রের তৃতীয় চুল্লির কুলিং সিস্টেম (শীতলীকরণ ব্যবস্থা) বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। অন্য কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতিরও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফুকুশিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপারেটর পরে জানান, কুলিং সিস্টেম আবার চালু হয়েছে। নিরাপদ সীমার মধ্যেই সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে মাত্র। তবে এতে আশঙ্কার কিছু নেই।

২০১১ সালে সুনামির পর ফুকুশিমার সব চুল্লি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবহৃত পরমাণু জ্বালানি সংরক্ষণের জন্য এখনো কুলিং সিস্টেম প্রয়োজন হয়। এ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তেমন পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বেশ কিছু লোক সামান্য আঘাত পেয়েছেন। টোকিওতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং কয়েকটি উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

জাপানের সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ফুকুশিমার ওনাহামা বন্দরে ২ ফুট উচ্চতা এবং সোমা বন্দরে ৩ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত করেছে। ভূমিকম্পের চার ঘণ্টা পর সুনামি সতর্কতার মাত্রা কমানো হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের আশপাশ থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চল এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Link copied!