বিমানে চড়ে ৪ হাজার গরু যাবে কাতারে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৭, ১০:০৫ পিএম
বিমানে চড়ে ৪ হাজার গরু যাবে কাতারে

ঢাকা: সাধারণ অনেক মানুষের যেখানে বিমানে উড়ার স্বপ্ন দেখেও পূরণ হয় না, সেখানে গরু চড়বে বিমানে, সমুদ্র পড়ি দিয়ে যাবে কাতারে। দেশটির সঙ্গে সৌদি আরবসহ সাত মুসলিম রাষ্ট্র সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করায় বেশ কিছু সংকটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সম্পদশালী এ রাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিতে পারে খাদ্যের। অবশ্য তুরস্ক ও ইরান ইতিমধ্যে খাদ্যশস্য পাঠিয়েছে। ইরান খাদ্যশস্য সমুদ্র পথে পাঠানোর পরিকল্পনা করলেও পরে তা বাতিল করে দ্রুত বিমানে পাঠিয়ে দেয়।

কাতারের মানুষের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার আসত সৌদি আরব থেকে। সম্পর্ক ছিন্ন করায় গত এক সপ্তাহ ধরে দুধ আমদানিও বন্ধ। তাই দেশের নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন এক ব্যবসায়ী। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার হাজার গরু কিনেছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ৬০টি ফ্লাইটে এগুলোকে কাতার আনা হবে। চলতি বছর জুলাই থেকে দুধ নিয়ে আর কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না কাতারবাসীর।

ব্লুমবার্গ ও গালফ টাইমস জানিয়েছে, পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক মোতাজ আল- খায়াত এসব গরু কিনেছেন। জুলাইয়ের পর থেকেই দুধের অভাব পূরণ করার চ্যালেঞ্জ তিনি ছুড়ে দিয়েছেন সৌদি আরবকে। ধনাঢ্য ওই ব্যবসায়ী বলেছেন, এখন সময় কাতারের জন্য কাজ করার।

অবশ্য তুরস্ক থেকে আসছে দুগ্ধজাত পণ্য, ইরান পাঠিয়ে ফল আর সবজি।  একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের প্রতি নাগরিকদের আগ্রহী করার জন্য প্রচার করছে দেশটির সরকার।

আবাসন ব্যবসার পাশাপাশি কাতারে কৃষিভিত্তিক ব্যবসাও করছেন আল-খায়াত। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও দেশটির সরকারের একটি উদ্দেশ্য। আর আল-খায়াত সে লক্ষ্যেও কাজ করছেন। তার খামারটি ৭০টি ফুটবল মাঠের সমান। ভেড়া রাখছেন সেখানে। যা দুধ আর মাংস দিচ্ছে। এখন তিনি গরুই আমদানি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

দোহায় নিজের কার্যালয়ে বসে আল-খায়াত জানান, মধ্য জুলাই থেকে আমদানি করা চার হাজার গরু দুধের চাহিদা পূরণ করবে। গরু আসার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ব্যবসায়ী আল- খায়াত বলেন, ‘প্রতিদিন কেউ অভাবের সংকটে পড়বে না। সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।

আল-খায়াতের ওই কথায় কাতারের মানুষেরও বিশ্বাস আছে।  একটি সুপারমার্কেটে দুধ কিনতে এসেছিলেন উম ইসা (৪০) নামে এক ব্যক্তি। তুরস্ক থেকে আসা দুধ কিনেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো কিছুর অভাব নেই। সেটা আমাদের সরকার নিশ্চিত করেছে। এজন্য সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের কোনো ভয় নেই।’

আল-খায়াত বলেন, গরুগুলো আগেই কেনা হয়েছিল। তা সমুদ্র জাহাজে করে আনার কথা ছিল। দোহায় একটি গরুর খামারের জন্য তা কেনা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে এখন বিমানে করে আনা হবে গরু।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Link copied!