ধরা পড়লেই চলে গণধর্ষণ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৭, ০২:৫২ পিএম
ধরা পড়লেই চলে গণধর্ষণ

ঢাকা: আইএসের হাত থেকে পালিয়ে আসার পর নাদিয়া মুরাদ নরকে থাকার দিনগুলো নিয়ে ‘দ্যা লাস্ট গার্ল’ শিরোনামে একটি বই লিখেন। সেখানে তিনি জানান, শত শত ইয়াজিদি মহিলা আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি রয়েছে। এছাড়া তারা মহিলাদের যৌনদাসী বানিয়ে রাখতো। সে নিজেই একজন যৌনদাসী ছিল।

নাদিয়া প্রায় তিন বছর হয়ে গেল, উত্তর ইরাকে আইএস জঙ্গিদের কবল থেকে পালিয়ে এসেছেন। লন্ডনের এক হোটেলে বসে সেই দিনগুলোর কথাই বলছিলেন তিনি।

তিনি জানায়, ২০১৪ সালে গ্রামে জঙ্গিরা এল। বুড়ো-বাচ্চা সকলকে গ্রামেরই একটা স্কুলে ঢুকিয়ে দিল তারা। মহিলাদের থেকে পুরুষদের আলাদা করে দেওয়া হল। তাদের রাখা হল স্কুলের বাইরে। তার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝাঁকে ঝাঁকে গুলির আওয়াজ, আর সেই শব্দকে ছাপিয়ে মানুষের আর্তনাদ। সে দিন মুরাদের ছয় ভাইকেও গুলি করে মেরেছিল জঙ্গিরা। মসুলে নিয়ে গিয়ে অল্পবয়সী মেয়েদের যৌনদাসী হিসাবে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।

মুরাদের দাবি, এক জন তার পেটে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। সেই ব্যক্তিই তাকে কিনে নেয়।

মুরাদ বলেন, নরক থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছিলাম। ধরা পড়তেই চলে গণধর্ষণ। ভেঙে পড়িনি। আমার মতোই হাজারো মহিলা জঙ্গিদের কব্জায় ছিল, এটাই আমাকে সাহস জুগিয়েছিল। নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলতে থাকলাম এক দিন মুক্ত হবই! সেই সুযোগও এসে গেল এক দিন।

এক জঙ্গি দরজা না আটকেই বেরিয়ে গিয়েছিল। তক্কে তক্কে ছিলেন মুরাদ। জঙ্গি চলে যেতেই সোজা দৌড়। আর পিছনে ফিরে তাকাননি। ধরা পড়লেই মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সাহসে ভর করে বেরিয়ে পড়েছিলাম।

এরপরে ২০১৫তে জার্মানির শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তিনি। বন্দি থাকাকালীন ইউরোপ, সৌদি আরব, তিউনিশিয়া থেকে একের পর এক জঙ্গি আসত, আর নিত্য দিন ধর্ষণ করত তাকে। ধর্ষণের আগে প্রার্থনাও করিয়ে নেওয়া হত। সূত্র: দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!