যুক্তরাষ্ট্রে সরকার অচল

দোষারোপের রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০১৮, ০১:০৫ পিএম
দোষারোপের রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থার জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনপ্রণেতারা। বিষয়টি সমাধানে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ও উচ্চকক্ষ সিনেটে গত শনিবার এক বিরল অধিবেশন বসে। যদিও একে অপরকে দোষারোপ করা ছাড়া কোনো সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন আইনপ্রণেতারা।

অর্থাৎ কার্যকর একটি সরকারি ব্যবস্থাপনা ছাড়াই মেয়াদের দ্বিতীয় বছর শুরু করলেন ট্রাম্প। বিবিসি ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় দুই কক্ষই বাজেট বাড়ানোর একটি প্রস্তাবে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। শনিবারের অধিবেশনে পুরো সময়ই রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা অচলাবস্থার জন্য একে অপরের ওপর দোষ চাপান। স্থানীয় সময় রোববার থেকে ওই অধিবেশন ফের শুরু হয়। অচলাবস্থার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কট নভেম্বরের কংগ্রেসের নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কায় অধিবেশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন আইনপ্রণেতারা।

রিপাবলিকানরা বলছেন, ডেমোক্র্যাটরা সরকারি কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ভোট দেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অভিবাসন বিষয়ে আপস-রফার আলোচনায় আগ্রহী নন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করছেন, রিপাবলিকানরাই সমঝোতায় আগ্রহী নন। ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছেন, ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী কট্টর অবস্থানের কারণে চুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে।

উলে­খ্য, মার্কিন সিনেটে বিলটি পাস করানোর জন্য প্রয়োজন ৬০ আসন। রিপাবলিকান পার্টির হাতে আছে ৫১টি আসন। ফলে বিলটি নিয়ে তাদের ডেমোক্র্যাটদের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরে বিলটি নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিশু অবস্থায় যেসব অভিবাসী অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল তাদেরকে অস্থায়ীভাবে বৈধতা দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এসব অভিবাসীকে ‘ড্রিমারস’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি এখানেই। তারা চাইছেন এসব অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা থেকে সরে আসতে হবে সরকারকে। এমন ড্রিমারসের সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে ৮ লাখ।

এদিকে অচলাবস্থার কারণে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মন্ত্রিসভার কয়েক সদস্যের নির্ধারিত সফরের কাজ দৈনন্দিন ভিত্তিতে অগ্রসর হবে বলে হোয়াইট হাউসের বাজেট বিষয়ক পরিচালক মিক মুলভানি জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!