বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৯:২৯ পিএম
বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও

ঢাকা : কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দান থেকেই ভারতের কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের উৎখাতের ডাক দিলেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। আওয়াজ উঠল ‘বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।’

এদিনের সমাবেশে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন ‘আগামী দিনে মোদিবাবুর এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গেছে। যখন কোন ওষুধ কেনা হয় সেখানে এক্সপায়ারি ডেট থাকে। এই সরকারো এক্সপায়ারি ডেট শেষ হয়ে গেছে। আগামী দিনে নতুন সকাল হতে চলেছে। আমরা সকলেই একসাথে মিলে কাজ করবো-এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’
 
প্রত্যাশামতোই এদিনের সমাবেশ থেকে আর্থিক নীতি থেকে শুরু করে নোট বাতিল, জিএসটি, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি, রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তিসহ একাধিক প্রসঙ্গ বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। জনসভা থেকে মমতার আহ্বান ‘দেশে আর আচ্ছে দিন আসবে না। অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন, এবার বিজেপিকে বাদ দিন।’ মোদিকে হিটলার, মুসোলিনি’র সাথে তুলনা টেনে মমতা বলেন ‘মোদি সরকার এদের চেয়ে ভয়ঙ্কর।’
 
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট শক্তিশালী করতেই এদিন ব্রিগেডে ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ সমাবেশের ডাক দেন মমতা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একাধিক রাজের মুখ্যমন্ত্রী, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-জুটির সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন ‘গত ৭০ বছরে পাকিস্তানের তরফে ক্রমাগত ভারতকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তান এদেশে বিভেদের বীজ রোপণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ গত পাঁচ বছরে মোদি-শাহ জুটি তা করে ফেলেছেন। এই জুটি সারা দেশে ঘৃণার বীষ ছড়িয়ে দিয়েছে, গোটা দেশকে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।’
 
ডিএমকে সভাপতি এম.কে.স্ট্যালিন পরিস্কার জানিয়ে দেন তাদের লক্ষ্যই হল কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে সরানো। তিনি বলেন ‘আগামী লোকসভা নির্বাচন হবে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করেছে। যে কোন উপায়ে তা বন্ধ করতে হবে।’

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন ‘সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন ‘বিজেপিকে সরাতে অ-বিজেপি দলগুলির নেতাদের উচিত হাতে হাত মেলানো। বিজেপি কার্যত কাগুজে বাঘ-এ পরিণত হয়েছে। আমাদের বিরোধী দলের জোটই মানুষের আকাঙ্খা বুঝতে পারে এবং তা পূরণ করতে পারে।’

মমতার ডাকে এই জনসভায় উপস্থিত হয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা জানান ‘আমাকে সবাই জিজ্ঞাস করেন আমি বিজেপিতে থেকেও তার বিরুদ্ধে বলি কেন, তবে কি আমি বিশ্বাসঘাতক? আমি বলবো সত্যি কথা বলাটা যদি বিশ্বাসঘাতক হয়, তবে তাই।’  অখিলেশ যাদব বলেন ‘২০১৯ সালেই ভারত নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখবে।’

এদিকে কলকাতায় ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ সমাবেশ নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন ‘এটা হল তৃণমূলের পলিটিক্যাল ট্যুরিজম। যে সব নেতাদের নিজেদের এলাকায় কোন পজিশন নেই, তাদেরকেই এখানে জড়ো করা হয়েছে।’ শনিবার ব্রিগেড জনসভাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!