১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস

  • পাবনা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬, ০১:৪৬ পিএম
১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত দিবস

পাবনা : সারাদেশে যখন স্বাধীন বাংলার অর্জিত লাল সবুজের পতাকা উড়ছিল আকাশ ছুঁয়ে। তখনও পাবনা মুক্ত হয়নি পাকিস্তানি দোসর হানাদারদের কবল থেকে। স্বাধীনতার ২ দিন পর অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর পাবনা মুক্ত হয়। আর তখন থেকেই এ দিনটি পাবনা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন পাবনার সর্বমহল।

অকুতোভয়ী বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষ যখন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে তখনও পাবনা শহরে চলছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ। ১৮ ডিসেম্বর পাবনা হানাদার মুক্ত হওয়ার আগে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তি বাহিনীর শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে মিত্র বাহিনী পাবনা শহরে মটার সেল ও বিমান হামলা চালাতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী চারদিক থেকে পাবনা শহর ঘিরে ফেলে আক্রমণ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর। উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণে পাকিস্তানি সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং পাবনা ছেড়ে দলে দলে পালিয়ে যায়। এ সংবাদে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ ঘর ছেড়ে বাড়ির বাইরে এসে উল্লাসে মেতে উঠে।

মুক্তিযোদ্ধারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। মূলত: এ দিনই পাবনার মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্ধি করে। মুক্তিযোদ্ধারা শহরে এসে সমবেত হতে থাকে। পরে পাবনা কালেক্টরেট ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসকের হিসাব মতে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার সাক্ষি হিসেবে পাবনায় এ পর্যন্ত ৪১টি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘দুর্জয় পাবনা’ নামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Link copied!