অগ্নিঝরা মার্চ

শুরু হয় জোরালো প্রতিরোধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০১৯, ০১:১২ পিএম
শুরু হয় জোরালো প্রতিরোধ

ঢাকা : ৬ মার্চ ছিল আহূত হরতালের শেষ দিন। মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে একটি বিশাল মহিলা মিছিল বের হয় এদিন।

পেশাদার শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক, গণশিল্পীরা সভা-সমাবেশ ও মিছিল বের করেন। অসহযোগ চলতে থাকে পুরোদমে। অলি আহাদের নেতৃত্বে পল্টনে জনসভা এবং মোজাফফর আহমেদের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ হয়। টঙ্গীতে বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কাজী জাফর এক শ্রমিক সভা ও মিছিলের নেতৃত্ব দেন। ছাত্রলীগ সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করে।

এদিকে ঢাকা ও যশোরে দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের গেট ভেঙে ৩৪১ জন কয়েদি পালিয়ে যায়। যশোরে প্রায় ৪ লাখ লোকের এক গণবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। পাক বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বহুসংখ্যক সৈন্য ও বিহারী জনতার হাতে হতাহত হয়।

পশ্চিম পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকরা এই পরিস্থিতিতে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। বাঙালির প্রতিরোধ স্পৃহা দেখে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে উদ্যত হয় তারা। বলাবাহুল্য সেই সিদ্ধান্ত ছিল সাধারণ মানুষের ওপর আরো কঠোর হওয়া।

তারা মনে করে, জনগণকে অস্ত্রের মুখে শায়েস্তা করতে হবে। দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার মতো সৎ সাহস তাদের ছিল না। ক্ষমতা হারানোর ভয় প্রতিনিয়ত তাদের তাড়া করত। উপরন্তু বাঙালির হাতে পুরো পাকিস্তানের ভাগ্য পড়ে গেলে তাদের নিজেদের অবস্থা কী হবে তা ভেবে তারা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাতে অবশ্যম্ভাবী এক যুদ্ধের সূচনা হয়। পরদিন ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সে যুদ্ধ প্রতিরোধের নির্দেশ দেন সবাইকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!