ফাইল ছবি
ঢাকা: ৪ মাস বয়স থেকেই শিশুদের চিনাবাদামের মতো অ্যালার্জেন জাতীয় খাবার খাওয়ানের ফলে প্রায় ৬০ হাজার শিশু চিনাবাদাম অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এক দশক আগে একটি যুগান্তকারী গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছিল যে, ছোট শিশুদের চিনাবাদামের তৈরি খাবার খাওয়ালে প্রাণঘাতী অ্যালার্জির বিকাশ রোধ করা সম্ভব। নতুন এক গবেষণা বলছে, এই পরিবর্তনটি বাস্তবেও একটি বড় পার্থক্য তৈরি করেছে।
ফিলাডেলফিয়ার চিলড্রেনস হসপিটালের অ্যালার্জিস্ট এবং গবেষক ড. ডেভিড হিল বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ ব্যাপার, তাই না?’ সোমবার মেডিকেল জার্নাল ‘পেডিয়াট্রিকস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার লেখক তিনি।
হিল এবং তার সহকর্মীরা কয়েক ডজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের ক্লিনিকের ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য রেকর্ড বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের বলতে পারি যে, এই জনস্বাস্থ্য উদ্যোগটি বাস্তবায়ন না করলে যত শিশুর খাদ্য অ্যালার্জি হতো, আজ তার চেয়ে কম শিশুর খাদ্য অ্যালার্জি রয়েছে।’
গবেষকরা দেখেছেন, ২০১৫ সালে উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য নির্দেশিকা জারি করার পর ০ থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে চিনাবাদাম অ্যালার্জির হার ২৭% এরও বেশি কমেছে এবং ২০১৭ সালে এই সুপারিশগুলো প্রসারিত করার পর তা ৪০% এরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে, এই প্রচেষ্টাটি এখনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য অ্যালার্জির সামগ্রিক বৃদ্ধিকে কমাতে পারেনি। প্রায় ৮% শিশু খাদ্য অ্যালার্জিতে আক্রান্ত, যার মধ্যে ২% এরও বেশি চিনাবাদাম অ্যালার্জিতে আক্রান্ত।
চিনাবাদাম অ্যালার্জি তখনই হয়, যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত চিনাবাদামের প্রোটিনকে ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এমন রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা অ্যালার্জির লক্ষণ সৃষ্টি করে, যার মধ্যে রয়েছে আমবাত, শ্বাসকষ্ট এবং কখনও কখনও প্রাণঘাতী অ্যানাফিল্যাক্সিস।
পিএস
আপনার মতামত লিখুন :