বিশ্ব চকলেট দিবস আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১, ০৪:৪৭ পিএম
বিশ্ব চকলেট দিবস আজ

ছবি (প্রতীকী)

চকলেট পছন্দ করে না বা নাম শুনলে জিবে জল আসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির ইতিহাসে চকলেটের কোনও নামগন্ধ না থাকলেও সকল বয়সী মানুষের কাছে সমান ভাবে জনপ্রিয়। চকলেটে থাকা সেরেটোনিনের কারণে আমাদের শরীরে বাড়তি উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় যা বিষন্নতা কমাতে অনেকটা সাহায্য করে এবং​ ইন্দ্রিয়ে ভালো লাগার​ অনুভূতিগুলো সক্রিয় হয়।চিকিৎসাবিজ্ঞানে হৃদযন্ত্র ভালো রাখা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও চকলেটের ভূমিকা আছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

চকলেটের স্বাদ ও গন্ধে আভিজাত্যের মোলায়েম ছোঁয়া থাকলেও সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে লোভনীয় মিষ্টান্ন। চকলেট এসছে মূলত মায়া ও আজটেক সভ্যতা থেকে। সে সময় পানীয় হিসেবে পান করা হতো চকলেট।যা তৈরি করা হতো কোকোর বীজ থেকে। ৭ জুলাই  ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’। 

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার এক বিশেষ উদ্ভিদ কোকোর বীজ থেকে তৈরি হয় চকলেট। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মধ্য আমেরিকার আরো কয়েকটি দেশে প্রথম এর চাষ শুরু হয়। এরপর এই বীজ আসে আফ্রিকায়।

আফ্রিকার আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনে ব্যাপকভাবে চাষ হয় কোকোর। বিশ্বের মোট কোকোর ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ঘানা ও আইভরি কোস্টে। তবে দেশ দুটি মূলত অপ্রক্রিয়াজাত বীজ রপ্তানি করে। বিশ্বের মোট চকলেট বিক্রি থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, কোকো বিক্রি করে তার এক–দশমাংশ আয় হয় আফ্রিকার।

চকলেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল কোকোর বীজ। আইভরি ও ঘানাতে কোকো ফার্মে বীজ সংগ্রহ, শুকানো, ভাজা ও গাঁজন প্রক্রিয়ার কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী হতদরিদ্র দেশ নাইজেরিয়া, নাইজার, মালি, বুরিনা ফাসো থেকে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অজস্র শিশু পাচার করা হয়। শুধুমাত্র অল্প মজুরিতে কোকো ফার্মগুলোতে কাজ করানোর জন্য। যদিও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আইএলও)-এর সঙ্গে কোকো ফার্মগুলোর হারকিন এঞ্জেন প্রোটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তবে বাস্তবায়িত হয়নি। 

০৭ জুলাই ‘বিশ্ব চকলেট দিবস’পালিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় চকলেট দিবস পালিত হয় ২৮ অক্টোবর। ঘানাতে কোকো সেলিব্রেটস চকলেট দিবস পালিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তেতোমিষ্টি চকলেট দিবস ১০ জানুয়ারি, মিল্ক চকলেট দিবস ২৮ জুলাই, সাদা চকলেট দিবস ২২ সেপ্টেম্বর এবং চকলেট কভারিং দিবস পালিত হয় ১৬ ডিসেম্বর।

সোনালীনিউজ/এসএন 

Link copied!