সোনালীনিউজ ডেস্ক
অমর একুশে বইমেলায় একটি স্টল থেকে ‘ইসলাম বিতর্ক’ শিরোনামে প্রকাশিত বইটি গোয়েন্দা পুলিশ জব্দ করার পর ওই ছাপাখানার মালিকসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বইটিতে ইসলাম ধর্ম এবং নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য রয়েছে।
ছাপাখানার মালিকরা তাদের কারখানায় যেসব বই ছাপা হচ্ছে সেগুলোর বিষয়বস্তু সম্পর্কে কতটা সচেতন থাকেন?
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত মনে করেন এ বিষয়ে মালিকদের অবশ্যই সচেতন থাকা উচিত।
তিনি বলেন, ‘ছাপাখানার ট্রেড লাইসেন্স পাবার সময় একটি বিবৃতিতেও স্বাক্ষর দিতে হয় যে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কিছু ছাপা থেকে আমি বিরত থাকবো।’
তবে সেরনিয়াবাত বলেন, ‘যিনি লিখছেন তার সম্পর্কে আমি যদি ঠিকভাবে জানা থাকলে তার লেখা পুরোটা পড়ে দেখতে হয়না। ভালোভাবে জানা থাকলে ওই লেখার দায়ভার তার ওপরেই দেয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘কোনও একটা বই কিছুটা পড়ে বুঝতে পারা যায় ওই বইয়ের ভেতরে কী থাকবে। আমাদের মধ্যে একটু ধারণা থাকতে হবে কোন লেখা দিয়ে ধর্মীয় উসকানি দেয়া হচ্ছে বা কোন লেখা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপানোর কোন বিষয় আছে কিনা। একটা লাইন দিয়ে কিন্তু উসকানি দেয়া যায়না। লেখার একটা ধারাবাহিকতা থাকে। একটা অংশ পড়ে বুঝা সম্ভব কী লেখা আসবে সামনে।’
বাংলাদেশে যারা ছাপাখানার মালিক তাদের মধ্যে যারা কিছুটা পড়ালেখা করে ছাপাখানার ব্যবসায় এসেছেন তারা বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখেন বলে জানাচ্ছেন শহীদ সেরনিয়াবাত।
তিনি বলেন ‘তবে কিছু লোক আছেন যাদের একদম অক্ষরজ্ঞান নেই, তারা হয়তো কর্মচারী ছিলো এখন এই ব্যবসায় চলে এসেছেন তাদের কাছে টাকাটাই বড়। তারা বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য করেননা, আর এটাই অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে।’
বাংলাদেশে বিতর্কিত বই প্রকাশের অভিযোগে একটি প্রকাশনী সংস্থার প্রকাশককে আটকের ঘটনার প্রভাব অন্য কোন ছাপাখানায় পড়বেনা বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অতীতেও এমন ঘটেছে। অতীতেও এরকম দু-একটা প্রতিষ্ঠান না বুঝে এই ভুল করে হয়তো তারা বিপদগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ছাপাখানার ওপর এটা তেমন প্রভাব বিস্তার করেনা।’
সোনালীনিউজ/আমা
আপনার মতামত লিখুন :