সজনী, হরিনীর মত ওভাবে তাকাতে নাই
কাজল মাখা চোখের তীরে তব খুন হয়ে যাই।
হৃদয় হয় তোলপাড়
তাকালে ওভাবে বারবার।
শুধু শুধু ওভাবে তাকাতে নাই
আগুন জ্বলে মনে-পুড়ে হই ছাই !
থেকে দুরে দুরে, আশেপাশে ঘুরে ঘুরে- ওভাবে তাকাতে নাই
তোমার কাছে আসতে আমি- বন্দী পাখির মত জানালা ঠুকরে পাগল হয়ে যাই ।
তবেই কেবল তাকাও-
যদি বাহুডোর মোরে বন্দী করতে হাতদুটি বাড়াও !
বিরহের নদীর পার ভেঙে গড়ে তোল সেথায়
প্রেমের সবুজ চত্ত্বর ফুলে ফুলে রঙিন ভাবনায় ।
একলা মনে উথাল পাথাল ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ,
ভেসে যাব অথৈ প্রেমে- আসবে নাকি কেউ !
কেমনে জানি মনের কথা রাষ্ট্র হলো হায়-
হঠাৎ শুনি কুসুম বনে ডাকছে কে আমায় !
গোলাপ ফোটে, হাসে ঠোটে, মূখ ঘুরিয়ে কয় –
জানোনা তুমি, তোমার-আমার সাত-জনম পরিচয় !
হাতে বেধে রাখি, হলাম সখা-সখী, সঙ্গী হলো কেউ,
এখন, দোকলা মনে উথাল পাথাল ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ !
আমি আসবো, সত্যিই আবার আসবো
আরেকটু সুন্দর তব তোমার মনের মত সাঁজে।
তুমি থাকবে তো এই নীল আকাশের নীচে
লুকিয়ে রবে নাতো আবার স্বভাবগত লাজে।
তোমাকে আরও সতেজ আর উর্ব্বর করার আশায়
ঠিকই কিন্তু ছুটে আসবো, কথা দিলাম তোমায়।
হে বন্ধু থেকো কিন্তু তুমি কেবলই মোর প্রতীক্ষায়
ভালোবাসা রেখো মনে, ভুলো নাকো হেলায়।
ঘাসফুল হেসে কহে ওহে মেঘ বন্ধু মোর
থাকবো প্রতীক্ষায় তোমার হোক যত প্রহর।
তুমি বিনে অস্তিত্ব মোর সে তো কল্পনাতীত
তোমার বৃষ্টি দানেই হয় মোর শক্ত ভিত।
এসো তুমি যখন খুশি, আমিও দিলাম কথা
আগমনে তোমার মেলে দেবো পাপড়ি, ভুলে সব প্রথা।
ভালোবেসো মোরে পবনে ভেসে এসে দেশে মোর
তোমার তরে রইবে খোলা আমার ঘরের দ্বোর।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :