যমুনা টেলিভিশনের সাম্প্রতিক একটি লাইভ টকশোতে উপস্থাপিকা রোকসানা আনজুমান নিকোল ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের তীব্র বাকবিতণ্ডা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনুষ্ঠানটির একটি অংশ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের মধ্যে এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আলোচনার শুরুতে উপস্থাপিকা নিকোল উল্লেখ করেন যে, অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়ে তিনি একজন নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, বিজয়ের মাসে এই সেটে দাঁড়িয়ে আপনি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন— আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।”
উপস্থাপিকার এই মন্তব্যের পর ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে আলোচনার প্রসঙ্গে ‘মাইনাস ফোর’ তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে বর্তমান ও সাবেক রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, প্রথমে এই মাইনাস ফোর তত্ত্বে আমার আপত্তি আছে। রাজনৈতিক অপমৃত্যুকে আবার আলোচনায় আনা কেন?
এসময় তিনি আরও বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
তার বক্তব্য শেষ হতে না হতেই নিকোল আবারো তাকে থামিয়ে বলেন,“বিজয়ের মাসে এখানে দাঁড়িয়ে আপনি বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন— আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুজনকে উচ্চস্বরে কথা বলতে দেখা যায়। উপস্থাপিকা নিকোল তাকে শৃঙ্খলার বিষয়ে মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “অনুষ্ঠানের নিয়ম আছে। ফ্লোর দিলে তবেই কথা বলবেন। অনুষ্ঠান কীভাবে চলবে, তা আমি সিদ্ধান্ত নেব।”
এই মন্তব্যে ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এটা স্বৈরাচারী আচরণ। আমরা আমন্ত্রিত অতিথি— অতিথি মানেই সম্মান।”
লাইভে প্রচারিত এসব মুহূর্ত দ্রুতই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবহারকারীরা ঘটনাটি নিয়ে নানা মত প্রকাশ করছেন। কেউ উপস্থাপিকার দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্যকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
এম
আপনার মতামত লিখুন :