ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে

ঢাকা: উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব কিছুই কঠোর হবে, কোনো কিছু নরম হবে না। শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন, করা হবে, যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, এর কম করা যাবে না, আর কেউ কম করলে, গাফিলতি করলে তাকেও ছাড়া হবে না।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় নির্বাচনে শুধু সেনাবাহিনী ছিল। এখন থাকবে না। জাতীয় নির্বাচনে একসঙ্গে সব কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, এখন সব কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোট হচ্ছে না। কয়েকটি পর্বে ভোট হবে। ফলে নিরাপত্তা তিন-চার গুণ বেশি থাকবে।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচন করেছি গত ৭ জানুয়ারি। এ নির্বাচনটি গোপালগঞ্জে যেমন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, তেমনি সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় নির্বাচন করতে পেরেছি। আমরা যে রেকর্ডটি করেছি সুষ্ঠু নির্বাচনের, সেটি আমরা ধরে রাখতে চাই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি আরও জানান, উপজেলায় নির্বাচনে যাতে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সুষ্ঠুভাবে যাতে ভোট গণনা হয়, সুষ্ঠুভাবে যাতে ফলাফল ঘোষণা করা যায় এবং জনগণ যাকে ভোট দেবেন, তিনিই যেন নির্বাচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যেন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করতে না পারেন বা ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন।  

ভোটার উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা অভিজ্ঞতা ও অনুমানের ওপর বলতে হবে। কারণ আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলা রিস্ক। জাতীয় নির্বাচনে কোথাও বলিনি ৮০ ভাগ ভোট পড়বে। কিন্তু অনেকগুলো পত্রিকা লিখে দিয়েছে ৮০ ভাগ ভোট পড়বে। আবার কোনো কোনো পত্রিকা কলামও লিখে ফেলেছে, এজন্য ভয় পাই। অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা দেখেছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের হার বেশি হয়। কোথাও কোথাও ৯০ ভাগ ভোটও পড়েছে।  

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত কমিশন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) কিনেছিলেন, এটার কিছু সমস্যা ছিল। ইভিএমগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এটার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে লোকবল, অর্থ এবং সংরক্ষণের যে স্থান প্রয়োজন, সেসব আগের প্রজেক্টে ছিল না। ফলে এগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে ইভিএমগুলো ভালো আছে, তার ভিত্তিতে আমরা নয়টি জেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছি।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।

আইএ

Link copied!