করোনায় একদিনে ঢাকায় ২০, চট্টগ্রামে ৮ জনের মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২০, ০৪:০১ পিএম
করোনায় একদিনে ঢাকায় ২০, চট্টগ্রামে ৮ জনের মৃত্যু

ছবি: ইন্টারনেট

ঢাকা: মহমারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এইবিভাগে ৮ জন মারা গেছেন। এই সময়ে ২ হাজার ৬৩৫ জনসহ দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৬১ জন এবং মারা গেলেন ৮৪৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। শনিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৯০৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৬৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হলেন ৬৩ হাজার ২৬১ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে লিঙ্গভেদে পুরুষ ৭১ শতাংশ ও নারী ২৯ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৮ জন ও নারী ৭ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৮৪৬ জন। এ পর্যন্ত যত কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে পুরুষ ৭৭.০৬ শতাংশ এবং নারী ২২.৯ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫২১ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩২৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.১৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।

ডা. নাসিমা জানান, বয়স বিশ্লেষণে ১১-২০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৯ ও ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রামে ৮ জন, সিলেটে ২ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, বরিশালে ২ জন মারা গেছেন। মৃত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ২৫ ও বাড়িতে ৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ
 

Link copied!