ভ্যাকসিন প্রতি ডোজে খরচ ৬.২৫ ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২০, ০৩:৩০ পিএম
ভ্যাকসিন প্রতি ডোজে খরচ ৬.২৫ ডলার

ঢাকা : করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। সবার অপেক্ষা ভ্যাকসিনের জন্য। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে ভ্যাকসিন কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম ধাপে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে সিরাম।

এতে খরচ হবে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে খরচ হবে ৬ দশমিক ২৫ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৬০ টাকা।

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসা শুরু হতে পারে। ভ্যাকসিন রাখা হবে বেক্সিমকোর গুদামে। ভারত যে দামে ভ্যাকসিন পাবে, সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশকেও একই দামে  দেবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে এটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছে।

বর্তমানে এটি তৃতীয় ধাপে প্রয়োগ শুরু হয়েছে, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে প্রমাণিত হয়েছে গবেষণায়। প্রত্যেক মানুষের জন্য এর দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। দেড় কোটি মানুষকে ২৮ দিন পর পর এ ডোজ দেয়া হবে।

স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আলোকে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনের পরিবহন ব্যয়সহ পতি ডোজের মূল্য ৫ ইউএস ডলার নির্ধারণ করা হয়। ভ্যাকসিনের অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য ১ দশমিক ২৫ ইউএস ডলার ধার্য করা হয়। এতে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন বাবদ মোট খরচ দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২৫ ডলার।

গত ১০ নভেম্বর অর্থ বিভাগে ভ্যাকসিন ক্রয় ও আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ মোট ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হলে অর্থ বিভাগ হতে ১৫ নভেম্বর প্রাথমিক বরাদ্দ হিসেবে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় যা রাজস্ব বাজেটে অন্তর্ভুক্ত। অর্থের উৎস জিওবি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান মহাপরিচালক কর্তৃক ক্রয় পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনার ভ্যাকসিন ক্রয়ে পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লিখিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সুপারিশ করেছে। আর টাকা-পয়সার বিষয়ে ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে যখন আসবে তখন আলোচনা হবে। তবে অ্যাট এ টাইমে কিনতে ৫ কোটি টাকার বেশি হলে ক্রয় কমিটিতে আসে। আর এককালীন কিনতে গেলে এর দাম ৫ কোটি টাকার বেশি হবে। এ জন্য ক্রয় কমিটিতে প্রস্তাব আনতে হবে।

উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!