লকডাউনের দ্বিধায় ঘুরছে গার্মেন্টসের ছুটি

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
লকডাউনের দ্বিধায় ঘুরছে গার্মেন্টসের ছুটি

ছবি : প্রতীকী

ঢাকা : করোনার ভয়াহব থাবায় দেশ বিপর্যস্ত। ঈদকে ঘিরে কঠোর লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে সরকার। এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় সরকার কঠোর বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময় সব ধরনের শিল্পকারখানাও ১৪ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কঠোর বিধি-নিষেধের দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে দেশের কোনো কোনো গার্মেন্টস কারখানা শ্রমিকদের পাঁচ দিন, কোনটি ১০ দিনের ছুটি দিয়েছে। এর ফলে ঈদের পাঁচদিন ছুটির সংগে যুক্ত হয়েছে লকডাউনের ১৪ দিনের ছুটি। সেই হিসেবে টানা ১৯ দিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারখানা। 

অন্যদিকে, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন কারখানা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকছে। 
 
গার্মেন্টসের পিক আওয়ার জুন-আগস্ট। এই সময়ে বড় ছুটি থাকায় বায়ার হারানোর আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। ১ আগস্ট থেকে কারখানা খোলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তাঁরা। বলছেন, সরকারে সবুজ সংকেত পেলেই তাঁরা কারখানা খুলে দেবেন। 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে, এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এটা কন্ট্রোল করতে হলে শ্রমিকদের দ্রুত কাজে ফেরাতে হবে। শ্রমিকরা কারখানায় থাকলে সংক্রমণ ছড়াবে না। অতীতে আমরা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে কারখানা খোলা রেখেছি তাতে আমাদের শ্রমিকদের আক্রান্তের হার ছিলো শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। সেভাবে খোলা রাখা গেলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে জীবন ও জীবিকাও রক্ষা পাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০১৩ সালের দুর্ঘটনার পর যেসব ক্রেতা আমাদের দেশ থেকে চলে গিয়েছিলো এখন তারা আবারও ফিরে আসতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় শিল্পকারখানা লম্বা সময় বন্ধ রাখা হলে মালিকদের পাশাপাশি দেশও বিপুল অঙ্কের রফতানি আয় বঞ্চিত হবে। একই সংগে ক্রয় আদেশ হারানোর আশঙ্কাও আছে।’

সোনালীনিউজ/এসএন 

Link copied!